‘আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে, আন্দোলন চলবে’

নিজস্ব প্রতিবেদক

দশম গ্রেডের দাবি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে স্মারকলিপি নিয়ে গিয়েছিলেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের ১০ সদস্যের প্রতিনিধিদল। কিন্তু সেখানে স্মারকলিপি দেওয়ার মতো কোনো কর্মকর্তাকে না পেয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিনিধিরা। বিষয়টিকে ‘প্রতারণা’ বলে উল্লেখ করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

শুক্রবার (২৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় শাহবাগ থানার একটি পুলিশ ভ্যানে তাদের সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়। ১০ সদস্যের প্রতিনিধিদলে ছিলেন— মো. মাহবুবুর রহমান, মো. লুৎফর রহমান, মনিবুল হক বসুনিয়া, মো. মোয়াজ্জেম হোসেন শাহীন, আব্দুল মান্নান, জুয়েল, বিজয় কর্মকার, শামীমা নাসরিন, সিরাজুল ইসলাম ও খায়রুন নাহার লিপি।

পরে প্রাথমিক শিক্ষক আন্দোলনের সমন্বয়ক মাহবুবুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, তাদের সঙ্গে প্রতারণা হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে নেয়া হয় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে। আর সেখানে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা না থাকায় স্মারকলিপি জমা দেয়া যায়নি। বিষয়টিকে ‘শুভঙ্করের ফাঁকি’ বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

আন্দোলন বিষয়ে তিনি জানান, আপাতত অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বাকি সহকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলেও জানান শিক্ষক সমন্বয়ক মাহবুবুর রহমান।

এদিন ভোর থেকেই কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জড়ো হতে শুরু করেন শিক্ষকরা। সকাল ১০টায় তাদের সমাবেশ শুরু হয়। এ সময় তাদের ‘এক দফা, এক দাবি, শিক্ষকদের ১০ গ্রেড’, ‘জেগেছে রে জেগেছে, শিক্ষক সমাজ জেগেছে’, ‘আমার সোনার বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই’ বলে স্লোগান দিতে দেখা যায়।

পাশাপাশি দুপুর ১২টার মধ্যে দাবি না মানলে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় যমুনার অভিমুখে পদযাত্রার আল্টিমেটাম দেন শিক্ষকরা। সেই ধারাবাহিকতায় বিকাল ৪টার দিকে পদযাত্রাটি শাহবাগ থানার সামনে পৌঁছালে সেখানে ব্যারিকেড দিয়ে শিক্ষকদের আটকে দেওয়া হয়। এ সময় গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায় আন্দোলনরত শিক্ষকদের। বাধার মুখে তারা সড়কেই বসে পড়েন। সেখান থেকে শিক্ষকদের ১০ সদস্যের প্রতিনিধিদলকে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।

শেয়ার করুন