সিলেট স্ট্রাইকার্সকে ৬ উইকেটের ব্যবধানে হারিয়েছে খুলনা টাইগার্স। অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে আসরে চতুর্থ জয় পেল দলটি। বল হাতে এক উইকেটের পাশাপাশি ব্যাট হাতেও ফিফটি করেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৫২ রান সংগ্রহ করে সিলেট।
জবাবে খেলতে নেমে ১৯ ওভার ৫ বলে ৪ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় খুলনা।
আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে হোঁচট খায় সিলেট স্ট্রাইকার্স। দলের খাতায় ১ রান যোগ হতেই সাজঘরের পথ ধরেন ব্যক্তিগত রানের খাতা না খোলা রনি তালুকদার। তবে দ্বিতীয় উইকেটে দারুণ প্রতিরোধ গড়ে তোলেন জর্জ মানসে ও জাকির হাসান।
দুজনের দাপটে ব্যাটিংয়ে পাওয়ার প্লে মধ্যেই ৫৮ রান তুলে নেয় সিলেট। তাতে আভাস মিলছিল বড় সংগ্রহের।
অষ্টম ওভারে দলীয় ৭৫ রানে মানসে আউট হন। ৩২ বলে ৬ চার ও ৪ ছক্কায় ৫৮ রান আসে তার ব্যাট থেকে।
স্কটিশ ব্যাটারের বিদায়ের পর ক্রিজের আধিপত্য ধরে রেখেছিলেন জাকির হাসান। তবে তাকে সঙ্গ দিতে ব্যর্থ হন কাদিম অ্যালেয়নে (৯) ও জাকের আলী (৮)। ১৫তম ওভারে ৩২ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৪৪ রান করেন জাকির।
খুলনার হয়ে এদিন ২টি করে উইকেট তুলে নেন আবু হায়দার, হাসান মাহমুদ ও সালমান ইরশাদ।
জবাবে খেলতে নেমে মিরাজ ও নাইমের ব্যাটে পাওয়ার প্লের পুরোটা সময় দাপট দেখিয়েছে খুলনা।
২০ রান করা নাইমকে ফিরিয়ে উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন নিহাদ উজ জামান। তবে আরেক ওপেনার মিরাজ হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন। ২৯ বলে পঞ্চাশ ছুঁয়েছেন খুলনার অধিনায়ক। শেষ পর্যন্ত তার ব্যাট থেকে এসেছে ৭০ রান।
তিন নম্বরে নেমে সুবিধা করতে পারেননি আফিফ হোসেন। জাকের আলীর হাতে ক্যাচ দেওয়ার আগে ৩ রান করেছেন এই ব্যাটার। এরপর ভালো শুরু পেলেও ১৭ রানে ফিরেছেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন।
পরে ম্যাচ বের করে আনতে থাকেন অ্যালেক্স রস ও উইলিয়াম বসিস্তো। একপর্যায়ে শেষ ওভারে দরকার ছিল মাত্র ৫ রান। কিন্তু রিস টপলের শেষ ওভারের প্রথম চার বলে এলো মাত্র দুই রান। ফলে ২ বলে দরকার পড়ে ৩ রান। জমে উঠে ম্যাচ। পঞ্চম বলে ছক্কা হাঁকিয়ে উত্তেজনায় জল ঢালেন উইলিয়াম বসিস্তো। খুলনা পায় রুদ্ধশ্বাস এক জয়।