যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের অন্যতম আলোচিত তিন গুপ্তহত্যার সঙ্গে সম্পর্কিত গোপন নথি প্রকাশের লক্ষ্যে পরিকল্পনা করতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
তারা হলেন জন এফ কেনেডি, রবার্ট এফ কেনেডি ও মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র। জন এফ কেনেডি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ছিলেন। তার ভাই রবার্ট এফ কেনেডি সিনেটর ছিলেন। মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বিখ্যাত নাগরিক অধিকার আন্দোলনের নেতা।
ট্রাম্প গতকাল বৃহস্পতিবার এ-সংক্রান্ত নির্বাহী আদেশে সই করেছেন। নির্বাহী আদেশে সই করার পর ট্রাম্প হোয়াইট হাউজের ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের বলেন, অনেক মানুষ দীর্ঘসময়, বছরের পর বছর, দশকের পর দশক ধরে এর জন্য অপেক্ষা করছেন। সবকিছু প্রকাশ করা হবে।
আদেশে ট্রাম্প প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের (জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার পরিচালক, অ্যাটর্নি জেনারেল) জন্য কিছু নির্দেশনা রয়েছে।
একটি নির্দেশনায় জন কেনেডি, রবার্ট কেনেডি ও মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সম্পর্কিত গোপন নথিগুলো প্রকাশ করার বিষয়ে ১৫ দিনের মধ্যে পরিকল্পনা উপস্থাপন করতে বলা হয়েছে। বর্তমানে এই নথিগুলো জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত নয়।
এ ছাড়া অন্যদের ক্ষেত্রে একই ধরনের পরিকল্পনা উপস্থাপনের জন্য কর্মকর্তাদের ৪৫ দিন সময় দেওয়া হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট জন কেনেডি ১৯৬৩ সালে ডালাসে গুপ্তহত্যার শিকার হন। আর তার ভাই রবার্ট কেনেডি ১৯৬৮ সালে ক্যালিফোর্নিয়ায় গুপ্তহত্যার শিকার হন। তখন তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়ছিলেন। একই বছর (১৯৬৮ সাল) টেনেসি অঙ্গরাজ্যের মেমফিসে গুপ্তহত্যার শিকার হন মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র।
২০ জানুয়ারি দ্বিতীয় দফায় মার্কিন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেন ট্রাম্প। দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি বিভিন্ন নির্বাহী আদেশে সই করে চলছেন। তার নির্বাহী আদেশে সই করার সংখ্যা নজিরবিহীন।
ট্রাম্প অবশ্য তার প্রথম মেয়াদেই এ-সংক্রান্ত সব গোপন নথি প্রকাশ করার অঙ্গীকার করেছিলেন। কিন্তু তখন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (সিআইএ) ও কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার (এফবিআই) কর্মকর্তারা তাকে কিছু নথি গোপন রাখতে রাজি করান। পরে তিনি তার অঙ্গীকার থেকে সরে আসেন।
গতকাল ট্রাম্প এ-সংক্রান্ত যে নির্বাহী আদেশ সই করেছেন, তাতে বলা হয়েছে, অব্যাহত গোপনীয়তা ‘জনস্বার্থের’ সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।