চিত্রনায়িকা পরীমনির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

নিজস্ব প্রতিবেদক

পরীমনি
ফাইল ছবি

মারধর ও হত্যার হুমকির অভিযোগে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদের দায়ের করা মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমনির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। একই সঙ্গে আদালতে হাজির না থাকায় পরীমনির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছেন আদালত।

ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিজেএম) আদালত রোববার এই আদেশ দেন। এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন পরীমনির আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত।

একই মামলায় পরীমনির কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ বোগদাদী জিমির বিরুদ্ধেও অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। তাঁর বিরুদ্ধেও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত বলেন, নাসির উদ্দিন মাহমুদের দায়ের করা মারধর ও হত্যার হুমকির মামলায় আজ অভিযোগ গঠন বিষয় শুনানির দিন ঠিক ছিল। পরীমনির পক্ষে অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য সময় চেয়ে তিনি আবেদন করেন। আদালত ওই আবেদন নাকচ করে পরীমনির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন। আর আদালতে হাজির না থাকায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারিরও আদেশ দিয়েছেন আদালত।

এর আগে গত বছরের ১৮ এপ্রিল নাসির উদ্দিন মাহমুদের দায়ের করা মামলায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদন আমলে নেন ঢাকার সিজেএম আদালত। একই সঙ্গে পরীমনিকে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারির আদেশ দেন।

মারধর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে ২০২২ সালের ১৮ জুলাই ঢাকার আদালতে নালিশি মামলা করেন ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ। মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, ২০২১ সালের ৮ জুন পরীমনি ও তাঁর সহযোগীরা সাভারের বোট ক্লাবে ঢুকে ওয়াশরুম ব্যবহার করেন। পরে ক্লাবের ভেতরে বসে অ্যালকোহল পান করেন। রাত ১টা ১৫ মিনিটের দিকে ক্লাব ত্যাগ করার সময় পরীমনি তাঁকে ডাক দেন। পরে একটি ব্লু লেবেল অ্যালকোহলের বোতল বিনা মূল্যে দেওয়ার জন্য চাপ দেন। এতে রাজি না হওয়ায় পরীমনি তাঁকে গালমন্দ করেন। একপর্যায়ে পরীমনি হত্যাচেষ্টার জন্য একটি গ্লাস ছুড়ে মারেন, যা তাঁর মাথায় ও বুকে লাগে।

মামলাটি তদন্ত করে গত বছরের এপ্রিলে পরীমনি ও ও তাঁর কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ বোগদাদী জিমির বিরুদ্ধে সিজেএম আদালতে প্রতিবেদন জমা দেয় পিবিআই।

পুলিশ ও আদালত-সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, জুনায়েদের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ী নাসিরকে মারধর করার অভিযোগের সত্যতা তদন্তে পায় পিবিআই। অপর দিকে পরীমনির ছোড়া মদের গ্লাসে নাসিরের আঘাত লাগার ঘটনার সত্যতাও পেয়েছে পিবিআই।

এদিকে ২০২১ সালের ৮ জুন সাভারের বিরুলিয়ায় ঢাকা বোট ক্লাবে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে পরীমনি ব্যবসায়ী নাসিরসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে সাভার থানায় মামলা করেছিলেন। মামলাটি তদন্ত করে ২০২২ সালের ৬ সেপ্টেম্বর নাসিরসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। মামলায় ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯ তিন আসামির বিরুদ্ধে ২০২২ সালের ১৮ মে অভিযোগ গঠন করেন। পরীমনির আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত বলেন, মামলাটি সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে।

অন্যদিকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে বিচার চলছে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০-এ। এ মামলাটি সাক্ষ্য গ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে।

 

শেয়ার করুন