লিভারপুলের বর্তমান মৌসুমের অবস্থান সবারই জানা। এখন পর্যন্ত ইংলিশ লিগের শীর্ষে আছে তারা। আর চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও সবার ওপরে থেকে নিশ্চিত করেছে রাউন্ড অব সিক্সটিন। দুদিন আগেই টটেনহ্যামকে বিধ্বস্ত করে চলে গিয়েছে ক্যারাবাও কাপের ফাইনালে। বিপরীতে প্লিমাউথ আছে ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় বিভাগের লিগ ‘চ্যাম্পিয়নশিপ’ এর একেবারেই তলায়।
হামজা চৌধুরী বর্তমানে আছেন শেফিল্ড ইউনাইটেডে। প্লিমাউথ সেই লিগ থেকেই বিদায়ের শঙ্কায় ধুঁকছে। লিভারপুল আর প্লিমাউথ আর্গাইলের ব্যবধান ঠিক এতটাই বিস্তর। কিন্তু সেই অখ্যাত দলটার কাছেই কি না হেরে গিয়েছে অলরেডরা। সেই সঙ্গে কোয়াড্রুপল বা এক মৌসুমে চার শিরোপা জয়ের স্বপ্নটাও দিতে হয়েছে বিসর্জন। এফএ কাপের ম্যাচে প্লিমাউথ ঘরের মাঠে লিভারপুলকে হারিয়েছে ১-০ গোলে।
ম্যাচের ৫৩ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে প্লিমাউথের স্কোরশিট খোলেন রায়ান হার্ডি। সেটাই শেষ পর্যন্ত হয়েছে ব্যবধান। দ্বিতীয় সারির দল নিয়েও লিভারপুল এরপর চেষ্টার কমতি রাখেনি। কিন্তু প্লিমাউথ গোলরক্ষক কনর হ্যাজার্ড এদিন যেন পণ করেই নেমেছিলেন। চীনের মহাপ্রাচীরের মতো দেয়াল তুলে দাঁড়িয়েছিলেন গোলবারের সামনে।
এফএ কাপের এই ম্যাচে খুব একটা শক্তিশালী স্কোয়াড নামানোর ভাবনা ছিল না লিভারপুল বস আর্নে স্লটের। মোহাম্মদ সালাহ, ভার্জিল ফন ডাইক ও কোডি গাকপোরা ছিলেন না মাঠে। লুইস দিয়াজ, দিয়োগো জোতা ও ফেদেরিকো কিয়েসার গড়া আক্রমণভাগটাও অবশ্য প্লিমাউথের রক্ষণে ফাটল ধরাতে যথেষ্ট।
কিন্তু প্রথমার্ধে লিভারপুল খুব বেশি ধারালো কোনো আক্রমণ রচনা করতে পারেনি। বরং দ্বিতীয়ার্ধে হার্ভি এলিয়টের হ্যান্ডবলের সুবাদে পেনাল্টি পেয়ে প্লিমাউথ যায় এগিয়ে। রায়ান হার্ডির পেনাল্টি ঠেকাতে পারেননি কুইভিন কেলেহার। লিভারপুল এরপর ম্যাচে আক্রমণে উঠেছে বারবার। বদলি হিসেবে নেমেছিলেন নাম্বার নাইন ডারউইন নুনিয়েজ।
কিন্তু কনর হ্যাজার্ডের কাছে হার মানতে হয়েছে সবাইকে। লিভারপুলও ১-০ গোলের হারে বিদায় নেয় এফএ কাপ থেকে। চলতি মৌসুমে এটি তাদের মাত্র চতুর্থ হার। কিন্তু সেটাই এফএ কাপের প্রেস্টিজিয়াস আসর থেকে লিভারপুলের বিদায়ের জন্য হয়েছে যথেষ্ট।