ইজতেমায় ‘ডেভিল’ এলে ধরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানালেন জিএমপি কমিশনার

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রথম পর্বের মতো বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বেও নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা টঙ্গীর তুরাগ তীরের ময়দান। ইজতেমায় কোনো ডেভিল এলে ধরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জিএমপির কমিশনার ড. নাজমুল করিম খান।

আজ বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিশ্ব ইজতেমা ময়দানের ২ নম্বর গেটের ভেতরে বিদেশি খিত্তার গেটে স্থাপিত জিএমপির নিয়ন্ত্রণ কক্ষে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিং-এ এ আহ্বান জানান তিনি।

আগামীকাল শুক্রবার সাদপন্থীদের বিশ্ব ইজতেমা শুরু হচ্ছে জানিয়ে জিএমপি কমিশনার বলেন, আগের মতই নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা রয়েছে বিশ্ব ইজতেমা ময়দান। এবারের ইজতেমায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাত হাজার সদস্যদের পাশাপাশি র‌্যাবসহ অন্যান্য বাহিনীও মোতায়েন রয়েছে।

১৬টি ওয়াচ টাওয়ার, ৩৩৬টি সিসি ক্যামেরা, সার্ভিল্যান্স টিম, রুপটফ, ৩৫টি বাইনুকোলার, ২০টি চেকপোস্ট ও ৩৫টি মোবাইল টিম কাজ করছে বলে জানান জিএমপি কমিশনার। এ ছাড়া হকার উচ্ছেদের জন্য পুলিশ ম্যাজিস্ট্রেট কাজ করছেন।

ড্রোন উড়ানোর বিষয়ে জিএমপি কমিশনার বলেন, ড্রোন সার্ভেল্যান্স কাজ করছে। কমিশনারের অনুমতি ছাড়া কেউ ড্রোন উড়ালে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে বিগত স্বৈরাচারী সরকারের দোসর ও সন্ত্রাসীদের ধরতে সারা দেশে চলছে যৌথ বাহিনীর অপারেশন ডেভিল হান্ট। ইজতেমায় কোনো ডেভিল এলে তাকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য আহ্বান জানান কমিশনার।

প্রেস ব্রিফিংয়ে জিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. জাহিদুল হাসান, উপপুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মোহাম্মদ ইব্রাহিম খান, উপপুলিশ কমিশনার (অপরাধ দক্ষিণ) এ এনএম নাসিরুদ্দিনসহ পুলিশ বিভিন্ন ইউনিটের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ইজতেমার আয়োজক সাদপন্থীদের পক্ষে শীর্ষ মুরব্বি ড. রেজাউল করিম, রেজা আরিফ, সফিকুর রহমান, মিডিয়া সমন্বয়কারী মোহাম্মদ সায়েম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে প্রথম পর্বে গত ৩১ জানুয়ারি থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দুই ধাপে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয় জুবায়েরপন্থীদের। ৫ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে প্রথম পর্ব শেষ হয়।

দ্বিতীয় পর্বে দিল্লির সাদপন্থীদেরেআখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে ১৬ ফেব্রুয়ারি। এর মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবারের ৫৮তম বিশ্ব ইজতেমা।

শেয়ার করুন