মিচেল স্যান্টনারের বলে সুইপ করার চেষ্টায় হাওয়ায় ভাসিয়ে দিলেন বাবর আজম। বৃত্তের ভেতরে সহজ ক্যাচ নিলেন কেন উইলিয়ামসন। টিভির পর্দায় দেখা গেল, বাড়ি ফেরার পথ ধরেছেন দর্শকরা। দলের সবচেয়ে সফল ব্যাটসম্যানের বিদায়েই যেন সম্ভাব্য পরিণতি বুঝে যান স্বাগতিক সমর্থকরা।
পরে খুশদিল শাহ অবশ্য একার লড়াইয়ে দলকে আরও কিছু দূর এগিয়ে নেন। কিন্তু পরাজয় এড়াতে পারেননি। স্বাগতিক পাকিস্তানকে ৬০ রানে হারিয়ে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির যাত্রা শুরু করল নিউ জিল্যান্ড।
করাচিতে বুধবার টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে উইল ইয়াং ও টম ল্যাথামের সেঞ্চুরির সৌজন্যে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩২০ রান করে কিউইরা। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে এটিই সর্বোচ্চ স্কোর। ২০১৭ সালে ৩১৯ রান করেছিল ভারত।
বড় লক্ষ্যে বাবর ও খুশদিলের ফিফটির পর ১৬ বল বাকি থাকতে ২৬০ রানে গুটিয়ে যায় পাকিস্তান।
এনিয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে টানা তিন ম্যাচ জিতল কিউইরা। এর আগে ত্রিদেশীয় সিরিজেও স্বাগতিকদের ফাইনালসহ দুই ম্যাচে হারায় তারা।
এই ম্যাচের আগে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিউ জিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ ইনিংস ছিল স্টিফেন ফ্লেমিংয়ের, ১৯৯৮ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৯৬ রান। প্রায় ২৭ বছর পর এক ম্যাচেই তিন অঙ্কের স্বাদ পেলেন তাদের দুই ব্যাটসম্যান।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে প্রথম খেলতে নেমে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রায় দুই বছর ও ৭৯ ম্যাচের অপেক্ষা ঘুচিয়ে ১১৮ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন ল্যাথাম। আসরের প্রথম সেঞ্চুরি করা ইয়াংয়ের ব্যাট থেকে আসে ১০৭ রান।
টুর্নামেন্টের ইতিহাসে এক দলের দুই ব্যাটসম্যানের সেঞ্চুরির পঞ্চম ঘটনা এটি। সবশেষ গত আসরে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেছিলেন বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
নিউজিল্যান্ড: ৫০ ওভারে ৩২০/৫ (ইয়াং ১০৭, কনওয়ে ১০, উইলিয়ামসন ১, মিচেল ১০, ল্যাথাম ১১৮*, ফিলিপস ৬১, ব্রেসওয়েল ০*; আফ্রিদি ১০-০-৬৮-০, নাসিম ১০-০-৬৩-২, আবরার ১০-০-৪৭-১, হারিস ১০-০-৮৩-২, খুশদিল ৭-০-৪০-০, সালমান ৩-০-১৫-০)
পাকিস্তান: ৪৭.২ ওভারে ২৬০ (শাকিল ৬, বাবর ৬৪, রিজওয়ান ৩, ফাখার ২৪, সালমান ৪২, তাহির ১, খুশদিল ৬৯, আফ্রিদি ১৪, নাসিম ১৩, রউফ ১৯, আবরার ০*; হেনরি ৭.২-১-২৫-২, ও’রোক ৯-০-৪৭-৩, ব্রেসওয়েল ১০-১-৩৮-১, ফিলিপস ৯-০-৬৩-০, স্যান্টনার ১০-০-৬৬-৩, স্মিথ ২-০-২০-১)
ফল: নিউ জিল্যান্ড ৬০ রানে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: টম ল্যাথাম