চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি: ইংল্যান্ডকে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকা

ক্রীড়া ডেস্ক

নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া ও আফগানিস্তানের কাছে হেরে আসর থেকে আগেই বিদায় নেওয়া ইংল্যান্ড নিজেদের তৃতীয় ম্যাচেও পেলো হারের তিক্ত স্বাদ। নিয়মরক্ষার এই ম্যাচে আগে ব্যাট করে মাত্র ১৭৯ রানেই থামে ইংল্যান্ড।

যার ফলে দক্ষিণ আফ্রিকা ব্যাট করতে নামার আগেই নিশ্চিত হয় তাদের সেমিফাইনাল, সুতায় ভাগ্য ঝুলে থাকা আফগানিস্তান বাদ পড়ে। লক্ষ্যও যেহেতু সহজই ছিল, জয়ও প্রত্যাশিতই। প্রত্যাশিত জয় দিয়ে ‘বি’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হিসেবে সেমিতে উঠেছে প্রোটিয়ারা।

ইংল্যান্ডের ১৮০ রানের লক্ষ্য দক্ষিণ আফ্রিকা ২৯.১ ওভারে ৭ উইকেট হাতে রেখে পেরিয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটি পরিত্যক্ত হওয়ার আগে আফগানদের হারিয়েছিল তারা। অন্যদিকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির তিন ম্যাচেই হারল ইংল্যান্ড। অধিনায়ক হিসেবে জস বাটলারের বিদায়টা হলো ভুলে যাওয়ার মতো। টানা তিনটি আইসিসি টুর্নামেন্টের ব্যর্থতার দায় ঘাড়ে নেওয়া বাটলার এই ম্যাচ খেলতে নামার আগেই নেতৃত্ব ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন।

এই ম্যাচ দিয়ে সেমির দৌড়ে বাদ পড়ার খানিক সম্ভাবনা ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। সে জন্য ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল ২০৭ রানের জয়, সেটা হলে শেষ চারে যেত আফগানিস্তান। ইংল্যান্ডের ইনিংস-রানই অতদূর যায়নি। তখনই বিদায় নিশ্চিত হয় হাশমতউল্লাহর দলের।

সহজ লক্ষ্য তাড়া করার ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ওপেনিংয়ে নামেন রায়ান রিকেল্টন ও ত্রিস্টান স্টাবস। তবে নিজেদের ইনিংসকে বেশিদূর নিয়ে যেতে ব্যর্থ হন তারা। ৫ বলে শূন্য রান করেই আজ সাজঘরে ফিরে যান ত্রিস্টান স্টাবস। তার বিদায়ে ১১ রানেই প্রথম উইকেট হারায় প্রোটিয়ারা।

ত্রিস্টান স্টাবসের বিদায়ের পর রসি ফন ডার ডুসেনের সঙ্গে জুটি বাঁধেন রায়ান রিকেল্টন। তবে থীতু হয়েও নিজের ইনিংসকে বেশিদূর নিয়ে যেতে ব্যর্থ হন রায়ান রিকেল্টন। ২৫ বলে ২৭ রান করে জফরা আর্চারের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরে যান তিনি। তার বিদায়ে ৩৬ রানের জুটি।

এরপরেই জুটি গড়েন রসি ফন ডার ডুসেন ও হেইনরিখ ক্লাসেন। দুই ব্যাটারই চড়াও হয়ে খেরতে থাকেন ইংলিশ বোলারদের ওপর। আর এতে দুই ব্যাটারই তুলে নেন জোড়া অর্ধশতক। হেইনরিখ ক্লাসেন ৪১ বলে রসি ফন ডার ডুসেন ৭২ বলে তুলে নেন অর্ধশতক।

তবে জয় থেকে মাত্র ৬ রান দূরে থাকার সময় সাজঘরে ফিরে যান হেইনরিখ ক্লাসেন। ৫৬ বলে ৬৪ রান করে সাজঘরে ফিরে যান তিনি।

তার বিদায়ের পর ডেভিড মিলারকে সঙ্গে নিয়ে ২৯ ওভার ১ বলেই দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান রসি ফন ডার ডুসেন। শেষ পর্যন্ত তিনি অপরাজিত থাকেন ৭২ রানে।

এর আগে শনিবার (১ মার্চ) করাচি জাতীয় স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করতে নামে ইংল্যান্ড। ব্যাটিংয়ে নেমে মার্কো ইয়ানসেনের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে রীতিমত দিশেহারা হয়ে পরে ইংল্যান্ডের ব্যাটিং লাইনআপ। ইয়ানসেন নিজে নিয়েছেন ৩ উইকেট। সঙ্গে নিয়েছেন দুই দারুণ ক্যাচ। উইয়ান মুল্ডারের ঝুলিতেও গিয়েছে ৩ উইকেট। যার ফলে নির্ধারিত ওভার শেষ হওয়ার আগে সব কটি উইকেট হারিয়ে ১৭৯ রান করেছে ইংল্যান্ড।

শেয়ার করুন