ওয়ানডেতে সর্বশেষ ১৫ ইনিংসে মাত্র একটি হাফ সেঞ্চুরি এসেছে তার ব্যাট থেকে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও তার ব্যাট নীরব। ভারতের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে শূন্যতে আউট হওয়ার পর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে করেছেন মাত্র ২ রান। অন্যদিকে মাহমুদউল্লাহ ভারতের বিপক্ষে চোটের কারণে খেলতে পারেননি। কিউইদের বিপক্ষে সুযোগ পেলেও ব্যর্থ হন, ফিরে যান মাত্র ৪ রানে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশের হতাশাজনক পারফরম্যান্সের পর তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ।
এমন ব্যর্থতার পর অনেকেই ভেবেছিলেন এই আসরের পরই হয়তো বিদায় বলবেন। ক্রিকেট ওয়েবসাইট ক্রিকবাজ-এর শোতে সাবেক দুই ভারতীয় ক্রিকেটার ও বিশ্লেষক দিনেশ কার্তিক ও পার্থিব প্যাটেল তো বলেই দিয়েছিলেন মুশফিক-মাহমুদউল্লাসহ অধ্যায় পেছনে ফেলে তরুণদের যথেষ্ট সময় দিয়ে দল গড়ায় মনোযোগ দেওয়া উচিত বাংলাদেশের। গত কিছুদিন ধরেও মুশফিক-মাহমদুউল্লাহর অবসর নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল। বিশেষ করে বিসিবি নতুন বছরের জন্য কেন্দ্রীয় চুক্তি ঘোষণা করবে। এই দুই ক্রিকেটার সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছিল অনেক কিছু। অবশেষে আজ মধ্য রাতে মুশফিক আন্তর্জাতিক ওয়ানডে থেকে অবসরের ঘোষণা দেন। যদিও মাহমুদউল্লাহও এখন নিজের সিদ্ধান্ত জানাননি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুশফিক লিখেছেন, আজ থেকে আমি ওয়ানডে ফরম্যাট থেকে বিদায় নিচ্ছি।
ফেসবুক পোস্টে মুশফিক আরও লিখেছেন, বৈশ্বিক পর্যায়ে আমাদের অর্জন কম। তারপরও যখনই আমি মাঠে নেমেছি শতভাগ দেওয়ার চেষ্টা করেছি। গত কিছুদিন আমার জন্য খুবই চ্যালেঞ্জিং ছিল এবং আমি অনুধাবন করেছি যে, এটাই আমার ভাগ্যে লেখা আছে। আমি আমার পরিবার, বন্ধু এবং সমর্থকদের ধন্যবাদ দিতে চাই, যারা ১৯ বছর আমাকে সমর্থন দিয়ে গেছেন।
২০২২ সালের ৪ সেপ্টেম্বর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের ফেসবুক পেজে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছিলেন মুশফিক। প্রায় আড়াই বছর পর একই কায়দায় ওয়ানডে ফরম্যাটকেও বিদায় জানালেন তিনি। কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে মুশফিকের রান ১০২ ম্যাচে ১৫০০।
২০০৬ সালের আগস্টে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে অভিষেক হয়েছিল মুশফিকের। লম্বা ক্যারিয়ারে মুশফিক খেলেছেন ২৭৪ ম্যাচ। ৯ সেঞ্চুরি ও ৪৯ হাফ সেঞ্চুরিতে সাবেক এই অধিনায়কের রান ৭ হাজার ৭৯৫। সীমিত ওভারের ফরম্যাট থেকে বিদায় নিলেও ৩৭ বছর বয়সী এই উইকেট কিপার ব্যাটার টেস্ট খেলে যাবেন।