পঞ্চগড়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে আল আমিন (৩৬) নামে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন।
আজ শনিবার (৮ মার্চ) ভোরে নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের আওতাধীন পঞ্চগড় উপজেলা সদরের অমরখানা ইউনিয়নে ভিতরগড় সীমান্ত এলাকার ভারতীয় অংশে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
নিহত আল আমিন একই উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের জিন্নাত পাড়ার সুরুজ আলীর ছেলে।
এ ঘটনায় শনিবার সকালে ভিতরগড় সীমান্তের জিরো লাইনে বিজিবি ও বিএসএফের ব্যাটালিয়ন কমান্ড্যান্ট পর্যায়ে পতাকা বৈঠক হয়। বৈঠকে হত্যার ঘটনায় বিজিবির পক্ষ থেকে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়।
পরে বিএসএফের ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে কঠোর ভাষায় একটি প্রতিবাদলিপি পাঠানো হয় বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায় নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়ন।
বিজিবি ও স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার রাতে আল আমিনসহ কয়েকজন যুবক ভারতীয় গরু ব্যবসায়ীদের সঙ্গে পরামর্শ করে সীমান্তের মেইন পিলার ৭৪৪ এর ৭ নম্বর সাব পিলার এলাকায় গরু আনতে যায়।
অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের সময় বিএসএফের ৪৬ ব্যাটালিয়নের ভাটপাড়া ক্যাম্পের টহলদলের সঙ্গে তাদের ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে তাদের লক্ষ্য করে দুই রাউন্ড গুলি ছোড়েন বিএসএফ সদস্যরা। এরপর সকালে প্রায় ৫০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে আবালুপাড়ায় মরদেহ পরে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা।
নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল শেখ মোহাম্মদ বদরুদোজ্জা বলেন, পরিস্থিতি যাই হোক। সীমান্ত হত্যার মাধ্যমে বিএসএফ মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে। যা অপ্রত্যাশিত এবং কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। তবে ভবিষ্যতে এ ধরণের ঘটনা ঘটবে না বলে বিএসএফের পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করা হয়েছে। ভারতের পুলিশের আইনগত প্রক্রিয়া শেষে আল আমিনের লাশ হস্তান্তর করা হবে।
নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল শেখ মোহাম্মদ বদরুদ্দোজা জানান, মরদেহ হস্তান্তরের জন্য বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানানো হয়েছে।