হাবীবুল্লাহ বাহার কলেজের উপাধ্যক্ষকে হত্যায় অভিযুক্ত দম্পতি গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর উত্তরখানে হাবীবুল্লাহ বাহার কলেজের উপাধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) সাইফুর রহমান ভুঁইয়া (৫০) হত্যায় অভিযুক্ত রুপা ও নাজিম দম্পতিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (১১ মার্চ) সন্ধ্যায় ফরিদপুরে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে ডিএমপির উত্তরখান থানা পুলিশ। রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন উত্তরখান থানার ভারাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউর রহমান।

তিনি বলেন, উত্তরখান থানার পুরান পাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় খুন হন হাবীবুল্লাহ বাহার কলেজের উপাধ্যক্ষ সাইফুর রহমান ভুঁইয়া। ওই ফ্ল্যাটে কয়েকদিন আগে রুপা ও নাজিম নামের এ দম্পতি ওঠেন। এরপর সোমবার ভোরে তারাই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে পালিয়ে যান বলে অভিযোগ রয়েছে। তাদের গ্রেফতারে অভিযান চালানো শুরু হয় হত্যাকাণ্ডের পরে। তারা ঢাকা থেকে পালিয়ে ফরিদপুরে আত্মগোপন করেন। এরপর অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে বুধবার (১২ মার্চ) আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ডের আবেদন করা হবে বলেও জানান উত্তরখান থানার ওসি জিয়াউর রহমান।

এর আগে উত্তরখানের পুরানপাড়া বাথানের শাহী শাহনেওয়াজের বাড়ির চতুর্থ তলার ভাড়া ফ্ল্যাটে সোমবার (১০ মার্চ) ভোরে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করার ঘটনা ঘটে। পরে তার চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন উদ্ধার করে উত্তরার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে বেলা ১১টার দিকে চিকিৎসক মৃত্যু ঘোষণা করেন। পরে তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। আজ ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।

এদিকে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের ভাই মুজাহিদুর রহমান ভুঁইয়া বাদী হয়ে উত্তরখান থানায় এজাহার দায়ের করেন। এজাহারটি হত্যা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করে উত্তরখান থানা পুলিশ। মামলায় অজ্ঞাতনামা হিসেবে আসামি করা হয়।

আজ দুপুরে উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. মহিদুল ইসলাম বলেন, উপাধ্যক্ষ সাইফুর রহমান ভুঁইয়াকে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার ভাই বাদী হয়ে মামলা করেন। উত্তরখানের পুরান পাড়ায় একটি বাড়ির চতুর্থ তলায় একাই থাকতেন সাইফুর রহমান। কয়েক মাস ধরে ফ্ল্যাটটি ভাড়া নিয়ে থাকতেন। সেখানে তিনি একাই থাকতেন। তবে একজন ছেলে ও একজন মেয়েকে ঘিরে সন্দেহ তৈরি হয়।

উত্তরখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউর রহমান জানান, সাইফুর রহমানকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে বাথরুমে আটকে রাখা হয়। একপর্যায়ে তিনি বাথরুম থেকে বেরিয়ে চিৎকার করে আশপাশের লোকজনকে ডাকেন। এরপর আশপাশের লোকজন তাকে উত্তরার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

ওসি বলেন, নিহত সাইফুরের স্ত্রী দুই সন্তান নিয়ে শান্তিনগর পীর সাহেবের এলাকায় একটি বাসায় থাকেন। তাদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয় এবং উপাধ্যক্ষ মোহাম্মদ সাইফুর রহমান উত্তরখানে থাকা শুরু করেন।

শেয়ার করুন