বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মুহাম্মদ ইউনূসের কড়া সমালোচনা করে ‘বাংলাদেশকে বাঁচাতে বিশ্ব নেতাদের এগিয়ে আসার’ আহ্বান জানিয়েছেন মরক্কোতে বাংলাদেশের সর্বশেষ রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ হারুন আল রশিদ।
সম্প্রতি তাঁকে দেশে ফিরে যেতে আদেশ দেওয়া হয়েছিল। অবশ্য দেশে না ফিরে কানাডায় পাড়ি জমিয়েছেন এই কূটনীতিক।
শুক্রবার ইংরেজিতে লেখা ওই ফেইসবুক স্ট্যাটাসে তিনি শুধু ইউনূসের তীব্র সমালোচনার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেননি, তুলে ধরেছেন ‘জঙ্গিবাদে ইউনূস কীভাবে মদদ জুগিয়ে যাচ্ছেন’ তার আদ্যোপান্ত।
নানা বর্ণনা, তথ্য-উপাত্তের পাশাপাশি ওই লেখায় নিজেকে একজন নির্যাতিত কূটনীতিক হিসেবে দাবি করেছেন হারুন আল রশিদ, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে যার রয়েছে নিজের লেখা বই।
পাশাপাশি সবাইকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, এমনও হতে পারে আপনার নীরবতা, আপনার উদাসীনতাকে ইতিহাস ভর্ৎসনা করবে। শুনুন- শুধু আমার কথা নয়, বরং সেই নীরব লাখ লাখ মানুষের কথা যাদের কান্না মুহাম্মদ ইউনূস রক্ত এবং মিথ্যায় নিমজ্জিত করেছেন।
মত ও পথ-এর পাঠকদের জন্য তাঁর সম্পূর্ণ ফেইসবুক স্ট্যাটাসটি বাংলা অনুবাদ তুলে দেওয়া হলো।
‘বাংলাদেশ এবং আমার নিজের জন্য একটি আবেদন’
নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বর্বরতার মুখে বাংলাদেশ আজ অসহায়। লাখো মানুষের সামনে আজ একটি পথই খোলা: মৃত্যু, নির্বাসন, অথবা উগ্র চরমপন্থার কাছে আত্মসমর্পণ।
জাতির ইতিহাসে সবচেয়ে কলঙ্কিত অধ্যায়ের দেখা মেলে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট, যেদিন পরিকল্পিতভাবে সন্ত্রাসী আক্রমণের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈধ সরকারকে উৎখাত করে এই রাষ্ট্রের ভিত্তিতে আঘাত করা হয়। বাংলাদেশ যখন পুড়ছে, যখন আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে, তখন দখলদার হিসেবে আবির্ভূত হলেন মুহাম্মদ ইউনূস।
ইতিহাসে এই অধ্যায় কীভাবে লেখা থাকবে? সম্ভবত এটি-ই ছিল সবচেয়ে ধ্বংসাত্মকভাবে সফল সন্ত্রাসী আঘাত, যা রাতারাতি একটি সমগ্র জাতিকে নতুন রূপ দিয়েছে।
একটি পরিকল্পিত পরিকল্পনা
বছরের পর বছর ধরে ‘ডিজিটাল সন্ত্রাসী’ পিনাকী ভট্টাচার্য এবং ইলিয়াস হোসেনের মতো লোকজন পশ্চিমা দেশগুলোকে মৌলবাদ এবং কারসাজির প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। তারা বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে অনলাইনে যুদ্ধে নেমেছিল, অপতথ্য ছড়িয়ে অস্থিরতা উস্কে দিয়ে আসছিল। দেখুন, ফ্রান্সে পিনাকি এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসে ইলিয়াস কীভাবে অনলাইনে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর ধ্বংসের পরিকল্পনা করেছিলেন– যা নিছক বর্বরতা এবং অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড!
অন্যদিকে, ফরহাদ মাজহার এবং জাহেদুর রহমানের মতো জিহাদিরা বাকস্বাধীনতার প্রতি শেখ হাসিনার অঙ্গীকারের অপব্যবহার করে ব্যাপক সাফল্য লাভ করে। তাদের প্রচারণা হিন্দু ধর্মাবলম্বী এবং ভারতের বিরুদ্ধে মুসলমানদের ঘৃণাকে আরও উসকে দেয়।
তাদের বানোয়াট তথ্য বাংলাদেশের মুসলমানদের মধ্যে ভারতবিরোধী মনোভাবকে একটি মানসিক ব্যাধিতে রূপান্তরিত করেছে, বিশেষকরে যারা মৌলবাদের প্রতি সংবেদনশীল।
মুহাম্মদ ইউনূসের শাসনামলে গণমাধ্যম আজ শৃঙ্খলাবদ্ধ এবং নীরব। বিশ্বের অগোচরে ঘটে যাচ্ছে প্রতিদিনিই নৃশংস ঘটনা। চরমপন্থীরা বাংলাদেশীদের বোঝাতে পেরেছে যে পশ্চিমারা এখন আর ইসলামী সন্ত্রাসবাদকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখে না, বরং মৌলবাদীদেরই জয়জয়কার। এখন পর্যন্ত এটি-ই ‘সঠিক’ প্রমাণিত হয়েছে।
বাংলাদেশের পরিচয় ধ্বংস
ইউনূসের সরাসরি তত্ত্বাবধানে এই জিহাদিরা ইতোমধ্যে বাংলাদেশের ধর্মনিরপেক্ষতা ও সাংস্কৃতিক পরিচয়কে উপড়ে ফেলেছে; মুছে ফেলেছে ইতিহাস ও ঐতিহ্য।
তারা কেবল জাদুঘর, দেয়ালচিত্র, ভাস্কর্য এবং সাংস্কৃতিক প্রতীক ধ্বংস করেনি; তারা শত শত সুফির মাজার এবং হিন্দুদের মন্দির ধ্বংস করেছে। ইউনূসের শাসনামলে নারীদের ওপর যে নির্যাতন হয়েছে পৃথিবীর মানচিত্রে তা বিরল। সংখ্যালঘু এবং ধর্মনিরপেক্ষরা ক্রমাগত ভয়ের মধ্যে বসবাস করছে, অন্যদিকে হিযবুত তাহরীর, আইএস এবং আল-কায়েদা তাদের লাল এবং কালো পতাকা উড়িয়ে প্রকাশ্যে ইসলামী প্রজাতন্ত্রের দাবি তুলছে। আর এসব দল থেকেই এসেছিল জুলাই-আগস্টের সন্ত্রাসীরা। ইউনূস কেবল তাদের রক্ষা করেননি– তিনি তাদের ক্ষমতায়িত করেছেন। তার সরকার সন্ত্রাসীদের মন্ত্রী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেছে, এবং যাদের তিনি পদ দিতে পারেননি তাদের পৃষ্ঠপোষকতা করে আসছেন- তাদের একটি রাজনৈতিক দল গঠনের অনুমতি দিয়েছেন।
মরক্কোতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে আমাকে আলাদা করে চিহ্নিত করা হয়েছিল। আমার অপরাধ বঙ্গবন্ধুর প্রথম দিকের বছরগুলো (১৯২০-১৯৪২) নিয়ে একটি বাংলা উপন্যাস লেখা, যার সঙ্গে তার পরবর্তী জীবনের কোনো সম্পর্ক ছিল না। আমাদের ইতিহাসের প্রতি ইউনূসের ঘৃণা কেবল অবজ্ঞার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেনি, তার মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশের ভিত্তি মুছে ফেলার একটি ইচ্ছাকৃত এবং পরিকল্পিত প্রচেষ্টা।
ধর্মনিরপেক্ষতা বনাম চরমপন্থা
ধর্মনিরপেক্ষ হিসেবে বাংলাদেমের জন্ম হলেও প্রথম নিঃশ্বাস থেকেই ইসলামপন্থী এবং জিহাদিরা এর ভিত্তি নষ্ট করে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করে আসছে। বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সামাজিক মেলবন্ধনে বিশ্বাসী মানুষ, যিনি আশা করেছিলেন তারা মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে ধারণ করবে। কিন্তু তারা তা করেনি। এর পরিবর্তে, তারা ঠাণ্ডা মাথায় তাঁকে হত্যা করেছে।
কয়েক দশক পরে, তাঁর কন্যা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও একই রকম সহনশীল মনোভাব দেখিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত, তিনিও সেই একই চরমপন্থীদের হাতে পড়লেন, যারা বছরের পর বছর জাতির মধ্যে বিভেদের কাঁটা বিছানোর ষড়যন্ত্র করে আসছিলেন।
যদি মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রকৃত তদন্ত হয়; একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ তদন্তে ভয়াবহ সত্য বের হয়ে আসবে, যাতে দেখা যাবে যে ইউনূস তার সুরক্ষায় প্রথম ১৫ দিনে যত নৃশংসতার ঘটনা ঘটিয়েছেন তা শেখ হাসিনার পুরো মেয়াদের তুলনায় অনেক বেশি।
এই দুটি সপ্তাহ বাংলাদেশ নৈরাজ্যে হারিয়ে গিয়েছিল। জনতা শত শত পুলিশ কর্মীকে পিটিয়ে হত্যা করেছে, এমনকী গর্ভবতী নারী করুণা ভিক্ষা করেও পর পাননি। শত শত আওয়ামী লীগ সমর্থককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে, তাদের মৃতদেহ ‘সতর্কতার সংকেত’ হিসেবে ফেলে রাখা হয়েছিল। এত ব্যাপক মাত্রার বর্বরতা বিগত কয়েক শতাব্দীর মধ্যে দেখা গিয়েছে কিনা সন্দেহ।
এ থেকে একটি সত্য উন্মোচন হয়েছে যে, বাংলাদেশী ধর্মনিরপেক্ষরা আপস করার চেষ্টা করলেও জিহাদিরা তাদের ধ্বংস করার লক্ষ্য থেকে কখনও বিচ্যুত হয়নি। আর মুহাম্মদ ইউনূসের অধীনে সেই লক্ষ্য অর্জনের গতি ত্বরান্বিত হয়েছে।
ইউনূসের বর্বরতা যে সত্যকে সামনে নিয়ে এসেছে তা থেকে একটি বিষয় স্পষ্ট- বাংলাদেশ ও ধর্মীয় মৌলবাদের মাঝে বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে আছেন কেবল একজন, তিনি শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা বনাম ইউনূস
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার যখন ইউনূসের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনলো তখন তিনি নিজেকে একজন ভুক্তভোগী হিসেবে উপস্থাপন করেছিলেন—এবং বিশ্ব তাকে বিশ্বাস করেছিল।
কিন্তু ভুল করবেন না: এই অভিযোগগুলির কোনোটিই মিথ্যা ছিল না। কেউ যুক্তি দিতে পারে যে একই ধরনের অপরাধে অন্যরা শাস্তি পায়নি, কিন্তু এতে করে ইউনূসের অপরাধ থেকে দায়মুক্তি মিলতে পারে না।
তার লোভের কোনও সীমা নেই। ক্ষমতায় আসার পর, তিনি তার সকল অপকর্মের খাতা পরিষ্কার করে নিয়েছেন—ন্যায়বিচার এড়িয়ে গিয়েছেন। শুধু একটি মামলা থেকেই ৬৬৩০ মিলিয়ন বাংলাদেশি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
মুহাম্মদ ইউনূসের প্রশ্নাতীত ঢাল
ইউনূসের গুণ্ডারা বাংলাদেশ জুড়ে আজ তাণ্ডব চালাচ্ছে, ভিন্ন মতের জনগণকে উপহাস করছে। সত্যি বলতে ‘ইউনূসকে সন্ত্রাসী হিসেবে দেখানো কঠিন—বিশ্ব এটা নেবে না। কেবল গুরুত্বপূর্ণ কিছু মানুষ তাকে চেনেন।’ এখন পর্যন্ত, তারা ঠিকই বলেছেন, এবং যা বলেছেন তা থেকে তার নিষ্ঠুরতা আরও গভীরভাবে ফুটে ওঠেছে। আমরা যখন মুখ বুজে সব সহ্য করছি, যখন আমরা আড়ালে থাকছি, এই সুযোগে তারা বরং পুড়িয়ে মারছে, হত্যা করছে, বর্বরতা থেকে রেহাই মিলছে না কারো।
দেশের নিয়ন্ত্রণ দখলের পর থেকে ইউনূসের মুখোশ উন্মোচিত হতে শুরু করেছে— তিনি একজন সংস্কারক নন, বরং একজন প্রতারণার আবরণে আচ্ছাদিত আপাদমস্তক অত্যাচারী। তার সর্বশেষ প্রতারণা? শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে ‘গাজার মতো’ অবস্থায় ফেলে রেখে গেছেন, যা কিনা দেশকে উগ্র ইসলামপন্থী ঘাঁটি বানানোর পরিকল্পিত ও ছাঁচে ফেলা ইউনূসের মিথ্যা বয়ানের উদাহরণ।
শেখ হাসিনা যখন কঠোর পরিশ্রমের সাথে বাংলাদেশ গড়ে তুলেছিলেন, তখন তাকে ইউনূসের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হয়েছে। তিনি (ইউনূস) দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করেছেন, দাঙ্গা উস্কে দিয়েছেন এবং চরমপন্থীদের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করেছেন, আর জাতিকে ঠেলে দিয়েছেন গৃহযুদ্ধের দিকে।
সন্ত্রাসবাদ, বিশ্বাসঘাতকতা ও ইউনূস
ইউনূস নিজেই নিউ ইয়র্কে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের উপস্থিতিতে একজন সন্ত্রাসী মাহফুজ আলমকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন—এবং তাকে জুলাই-আগস্ট সন্ত্রাসী হামলার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে উপস্থাপন করেছিলেন।
মুক্ত বিশ্বের কাছে প্রশ্ন- চার্লি হেবদো হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী একজন সন্ত্রাসীকে কেউ প্রকাশ্যে উদযাপন করলে ফরাসিরা কেমন প্রতিক্রিয়া দেখাবে? কিংবা, ৯/১১-এর মূল পরিকল্পনাকারীকে নিউ ইয়র্কে সম্মানিত করা হলে আমেরিকানরা কেমন প্রতিক্রিয়া দেখাবে, ঠিক যেমন ইউনূস করেছিলেন? বাংলাদেশও একই ক্ষোভ, একই আঘাত এবং অপমানের অনুভূতি অনুভব করেছিল সেদিন। এটি কেবল আমাদের জাতির জন্য অপমান ছিল না বরং ন্যায়বিচারের প্রতি অবমাননা ছিল।
পোশাক শ্রমিক বনাম গ্রামীণ ব্যাংক ঋণগ্রহীতা
যখন বাংলাদেশের পোশাক শ্রমিকের অনুপযুক্ত কাজের পরিবেশ প্রকাশ্যে আসে, তখন কিন্তু পশ্চিমারা ক্ষোভে ফেটে পড়ে। অথচ ইউনূসের গ্রামীণ ব্যাংক এরচেয়েও শোষণমূলক মডেলের উপর প্রতিষ্ঠিত হওয়া সত্ত্বেও ত্রাণকর্তা হিসেবে তিনি প্রশংসিত!
একবার ভাবুন, একজন পোশাক শ্রমিক কষ্টের মধ্যে পরিশ্রম করে ঠিকই, তবে তাকে ঋণের বোঝা বহন করতে হয় না। আর গ্রামীণ ঋণগ্রহীতারা একটার পর একটা ঋণ নিয়ে—ঋণ পরিশোধের এক অন্তহীন চক্রে আটকা পড়ে। তাকে বেঁচে থাকার জন্য, ঋণের বোঝা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য, যেকোনো কারখানার শ্রমিকের চেয়েও বেশি পরিশ্রম করতে হয়। তারপরও পশ্চিমারা প্রতিটি পোশাক কারখানার দুর্ঘটনা যাচাই করার সময় বরং ইউনূসকে মহিমান্বিত করে থাকেন।
একটি চূড়ান্ত আবেদন
ইউনূস যে সন্ত্রাস সৃষ্টি করেছিলেন তার শত শত উদাহরণ আমি উদ্ধৃত করতে পারি। তবুও, এটি কোনও বাগ্মিতা নয়—এখানে প্রতিটি দাবি প্রকাশ্য এবং প্রমাণযোগ্য। সত্যকে উপেক্ষা করলে তা কিন্তু হারিয়ে যাবে না।
ইউনূসকে দমন করার ক্ষেত্রে পশ্চিমাদের দ্বিগুণ দায়িত্ব রয়েছে—কারণ তিনি তাদের শিষ্য হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। ইতিহাসে কি কখনও কোনও নোবেল বিজয়ী এই ধরনের বর্বরতার নেতৃত্ব দিয়েছেন?
ইতিহাস ইউনূসকে স্মরণ করবে, কিন্তু একজন বীর হিসেবে নয়, বরং একজন প্রতারক হিসেবে, যিনি বিশ্বের সঙ্গে প্রতারণা করেছিলেন এবং সন্ত্রাসে লিপ্ত হয়েছিলেন। নিজের জাতির সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে, তিনি সেইসব পশ্চিমাদেরও অপমান করেছেন যারা তার হয়ে কথা বলেছেন, সমর্থন দিয়েছেন।
এটি কোনও কূটনৈতিক নোট নয়। এটি এমন একজন ব্যক্তির আর্তনাদ, যার দেশ চুরি করা হয়েছে, যার জীবন মোচড়ে দেওয়া হয়েছে– শুধু ইউনূসের শাসনামলে লেখালেখির জন্য, ইতিহাস রক্ষা করার সাহস দেখানোর জন্য, সত্যের প্রতি অনুগত থাকার জন্য শাস্তি দেওয়া হয়েছে। আজ, আমি নির্বাক, একজন নির্যাতিত কূটনীতিক, একজন নির্বাসিত ঔপন্যাসিক যিনি মরুভূমি থেকে আর্তনাদ করছেন। কিন্তু আগামীকাল, এমনও হতে পারে আপনার নীরবতা, আপনার উদাসীনতাকে ইতিহাস ভর্ৎসনা করবে। শুনুন- শুধু আমার কথা নয়, বরং সেই নীরব লক্ষ লক্ষ মানুষের কথা যাদের কান্না মুহাম্মদ ইউনূস রক্ত এবং মিথ্যায় নিমজ্জিত করেছেন।
বিনীত,
হারুন আল রশিদ
একজন নির্যাতিত বাংলাদেশী কূটনীতিক এবং ধর্মনিরপেক্ষ নাগরিক