মফস্বলেও শেখ হাসিনার নির্মিত উন্নতমানের হাসপাতাল সুবিধা পেলেন তামিম

নিজস্ব প্রতিবেদক

তামিম ইকবাল
তামিম ইকবাল। ফাইল ছবি

সোমবার রাজধানী ঢাকা থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে সাভারের বিকেএসপিতে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচ খেলতে গিয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন তামিম ইকবাল। প্রচণ্ড বুকে ব্যাথা নিয়ে প্রায় অচেতন হয়ে পড়েন তিনি। তাকে হেলিকপ্টারে করেও তখন ঢাকায় আনার অবস্থা ছিলো না। চরম এই গুরুতর অবস্থায় তামিমের চিকিৎসা হয়েছে স্থানীয় শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব কেপিজে স্পেশালাইজড হাসপাতালে। সেখানে সব আধুনিক যন্ত্রপাতি থাকায় তার হার্টে সফলভাবে বসানো হয় স্টেন্ট। বর্তমানে পর্যবেক্ষণে আছেন তিনি। এই হাসপাতালটি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশেষ উদ্যোগ নিয়ে তৈরি করেছিলেন, তবে সরকার পতনের পর শেখ ফজিলাতুন্নেসার নাম বাদ দেয়া হয়েছে।

দেশজুড়ে দিনভর আলোচিত হাসপাতালটির পেছনের গল্প সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন শিশু চিকিৎসক রাসেল চৌধুরী। তিনি লেখেন, ‘তামিম ইকবাল যে হাসপাতালে আজ বিশ্বমানের হৃদরোগ চিকিৎসা পেয়ে জীবন ফিরে পেয়েছেন, সেটিকে প্রথম আলোসহ বিভিন্ন মিডিয়া কেপিজে স্পেশালাইজড হাসপাতাল বলে উল্লেখ করছেন। এর পূর্ণ নাম কিন্তু শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে স্পেশালাইজড হাসপাতাল।

প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাভারের প্রত্যন্ত এলাকায় বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের নামে এই বিশ্বমানের মালয়েশিয়ান চেইন হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেন এবং নিজেও বেশ কয়েকবার এই হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।

এই হাসপাতালের নাম বর্তমান সরকার বদলে দিয়ে শুধু কেপিজে স্পেশালাইজড হাসপাতাল রেখেছেন। অসুবিধা নেই। নামে কিবা আসে যায়। প্রাণতো বাঁচলো বঙ্গমাতার নামে প্রতিষ্ঠিত হাসপাতালে দেশের এক সোনার সন্তানের।

শেখ হাসিনা কেন দেশের আনাচে কানাচে বিশাল বিশাল সব অবকাঠামো স্থাপন করেছিলেন, সেটা নিয়ে বর্তমান সরকারের তথাকথিত জ্ঞানী উপদেষ্টারা এবং তাঁদের ভক্তকূল প্রায় প্রতিনিয়ত বিষেদাগার করতে থাকেন।

আজ এই হাসপাতাল না থাকলে হয়তো এতক্ষণে তামিম ইকবালের বুকের হৃদপিন্ডে জীবন রক্ষাকারী স্টেন্ট না বসে চিরদিনের জন্য বিদায়ী ফুলের তোড়া উঠতো।

গত ১৬ বছরে সারাদেশ জুড়ে নজিরবিহীন উন্নয়ন মানে শুধু টাকা খরচ হয়নি, উন্নয়ন মানে জীবন বাঁচানো, উন্নয়ন মানে জীবন বদলে দেয়া। এবং অবশ্যই সেটা সারা দেশ জুড়ে, আনাচে কানাচে। জয় বাংলা।’

এদিকে হার্টে স্টেন্ট বসানোর পর জ্ঞান ফিরেছে তামিমের। তিনি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলতে পারছেন। চিকিৎসকরা যদিও তাকে রেখেছেন নিবিড় পর্যবেক্ষণে।

শেয়ার করুন