যশোরের শার্শা উপজেলার একটি কওমি মাদ্রাসার ছাত্রীদের কক্ষ থেকে সিসি ক্যামেরা ও শিক্ষকের কক্ষ থেকে মনিটর জব্দ করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার বিকেলে সেখানে অভিযান চালানো হয়।
জানা যায়, মাদ্রাসাটিতে ছাত্রীদের কক্ষে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের ব্যাপারে এক শিক্ষার্থী তার মাকে বলে। পরে বিষয়টি ওই ছাত্রীর মামা জানতে পারেন। কুষ্টিয়ায় থাকা শিক্ষার্থীর মামা পরে যশোরের পুলিশ সুপারের (এসপি) কাছে অভিযোগ করেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবাার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাজী নাজিব হাসান ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নিশাত আল নাহিয়ানের নেতৃত্বে ওই মাদ্রাসায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় মাদ্রাসার শিক্ষক আবু তাহেরকে (৪৫) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ নিয়ে যায়।
যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নিশাত আল নাহিয়ান বলেন, কওমি মাদ্রাসার পাঁচতলা ভবনের নিচতলায় দুই শিক্ষক থাকেন। ওপরের চারটি তলায় আবাসিক থেকে মেয়েরা লেখাপড়া করে। মেয়েদের শোবারকক্ষে দুটি করে নাইট ভিশন ক্যামেরা স্থাপন করা ছিল। এছাড়াও রান্নাঘর, বারান্দাসহ পুরো ভবনে সিসি ক্যামেরা লাগানো ছিল। এসব ক্যামেরার মনিটর নিচতলায় শিক্ষকের কক্ষে ছিল। এ ঘটনায় মাদ্রাসার শিক্ষক আবু তাহেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়ে। পরে তাকে যখনই ডাকা হবে, তখনই হাজির হওয়ার শর্তে আবু তাহেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, মেয়েদের শোবার ঘরে ক্যামেরা স্থাপন করে তাদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা খর্ব করা হয়েছে। এটা কেউ করতে পারেন না।
নিশাত আল নাহিয়ান বলেন, নারী পুলিশ সদস্য পাঠিয়ে সিসি ক্যামেরার ডিভিআর রেকর্ডিং জব্দ করা হয়েছে। সেখানে এক মাসের ফুটেজের রেকর্ড আছে। ফুটেজ যাচাই–বাছাই করা হচ্ছে। যদি আপত্তিকর কিছু পাওয়া যায় তবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ঘটনায় এখনও কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।