ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় বোমাবর্ষণ অব্যাহত রেখেছে। শনিবারও উপত্যকাজুড়ে কমপক্ষে ৫৪ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। খবর আল জাজিরার।
গাজা উপত্যকার সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল এএফপিকে জানিয়েছেন, নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
তিনি বলেন, ভোর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় ৫৪ জন নিহত হয়েছে এবং এই মুহূর্ত পর্যন্ত বোমাবর্ষণ অব্যাহত থাকায় সংখ্যাটি আরও বাড়তে পারে।
আল জাজিরা আরবির সহকর্মীরা জানিয়েছেন, গাজার মধ্যাঞ্চলে নুসাইরাত শরণার্থী শিবিরের পশ্চিমে একটি আবাসিক ভবন থেকে মৃতদেহগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
গাজাজুড়ে বোমা হামলায় কমপক্ষে ৫২ জন নিহত হওয়ার একদিন পর এই হামলা চালানো হলো।
এদিকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে যে শনিবার গাজা উপত্যকার উত্তরে হামাস যোদ্ধারা ৩৫ বছর বয়সী এক ইসরায়েলি সেনাকে হত্যা করেছে এবং আরও পাঁচজনকে আহত করেছে।
টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, ১৮ মার্চ গাজায় ইসরায়েলের আক্রমণ পুনরায় শুরু হওয়ার পর থেকে নর্দার্ন ব্রিগেডের ট্র্যাকারই প্রথম নিহত হয়েছেন।
এতে আরও বলা হয়েছে, আহত পাঁচজনের মধ্যে তিনজনের অবস্থা গুরুতর।
২০২৩ সালের ২৭ অক্টোবর গাজায় সেনাবাহিনীর স্থল আক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে কমপক্ষে ৪১২ জন ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছে।
হামাস আরেকটি অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির জন্য ইসরায়েলি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার এবং বন্দিদের বিনিময়ে সংঘাতের অবসানের জন্য একটি চুক্তি দাবি করার পর ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু গাজার বিরুদ্ধে যুদ্ধ তীব্র করার নির্দেশ দিয়েছেন।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী একটি ভিডিও ভাষণ দিয়েছেন, যেখানে তিনি বলেছেন, আমি [ইসরায়েলি সেনাবাহিনীকে] দৃঢ়ভাবে প্রতিক্রিয়া জানাতে এবং হামাসের ওপর চাপ আরও বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছি।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ১৮ মাস আগে গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে কমপক্ষে ৫১ হাজার ৬৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ লাখ ১৬ হাজার ৫০৫ জন আহত হয়েছে।
গাজা সরকারি মিডিয়া অফিস তাদের মৃতের সংখ্যা আপডেট করে ৬১ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি বলে জানিয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে নিখোঁজ হাজার হাজার মানুষকে মৃত বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস-নেতৃত্বাধীন হামলায় ইসরায়েলে কমপক্ষে ১১৩৯ জন নিহত হয়েছিল এবং ২০০ জনেরও বেশিকে বন্দি করা হয়েছিল।