ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজের উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ড. আমিনুল ইসলাম। গত ১৭ এপ্রিল সিটি করপোরেশনের এক অফিস আদেশে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। আমিনুল ইসলাম গল্প-উপন্যাস লেখার পাশাপাশি পত্রিকায় নিয়মিত মতামত কলাম লেখেন।
কিন্তু আমিনুল ইসলামের নাগরিত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে। মত ও পথের হাতে তার নাগরিকত্ব সংক্রান্ত একটি নথি এসেছে। নথিটি বলছে, ড. আমিনুল ইসলাম ইউরোপের দেশ এস্তোনিয়ার নাগরিক। তিনি ২০২২ সালের মার্চে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ছেড়েছেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের বহিরাগমন শাখা-৩ এর সিনিয়র সহকারী সচিব কানিজ ফাতেমা স্বাক্ষরিত ওই চিঠির বিষয়বস্তু ছিল-_এস্তোনিয়ার নাগরিকত্ব গ্রহণের নিমিত্তে বাংলাদেশি নাগরিকত্ব পরিত্যাগ প্রসঙ্গে।
যাতে বলা হয়, নিম্নবর্ণিত একজন বাংলাদেশি (Aminul Islam), পার্সপোর্ট নম্বর (BQ 018—48), জন্মতারিখ ০০/০০/১৯৮০।
ড. আমিনুল ইসলাম কেন বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পরিত্যাগ করতে চান সেটার কারণ হিসেবে ওই চিঠিতে বলা হয় ‘তিনি এস্তোনিয়ার নাগরিকত্ব গ্রহণ করতে চান। এরই মধ্যে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পরিত্যাগের ফি জমা দিয়েছেন। নাগরিকের নাগরিকত্ব পরিত্যাগের আবেদন সরকার কর্তৃক মঞ্জুর করা হয়েছে।’
চিঠিতে আবেদনকারীর নাগরিকত্ব পরিত্যাগের অনুমোদনপত্রটি হস্তান্তরের আগে মূল পাসপোর্টটি সংগ্রহ করে এ বিভাগে প্রেরণের জন্য এবং এ বিষয়ে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়।
এদিকে সিটি করপোরেশনের অফিস আদেশে বলা হয়, ‘স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন, ২০০৯ এর ৫৩ নং ধারা অনুযায়ী পরামর্শের প্রয়োজনে প্রশাসক মহোদয়ের অভিপ্রায় অনুযায়ী আমিনুল ইসলামকে উপদেষ্টা হিসেবে নিযুক্ত করা হলো। এটি সম্পূর্ণ অবৈতনিক হিসেবে বিবেচিত হবে। যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে এই আদেশ জারি করা হলো।’
ড. আমিনুল ইসলামের জন্ম ও বেড়ে ওঠা ঢাকার নাখালপাড়ায়। তিনি ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ থেকে এইচএসসি, সিলেটের শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রাজুয়েশন শেষ করে সুইডেনে মাস্টার্স এবং ইংল্যান্ড থেকে পিএইচডি সম্পন্ন করেন। বর্তমানে উত্তর-পূর্ব ইউরোপের দেশ এস্তোনিয়ার এন্টারপ্রেনারশিপ ইউনিভার্সিটিতে টেকসই উন্নয়নে সিনিয়র লেকচারার হিসেবে কর্মরত আছেন।