ইয়েমেন থেকে ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, বেজে উঠলো সাইরেন

মত ও পথ ডেস্ক

ফাইল ছবি

ইয়েমেন থেকে ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, ইয়েমেন থেকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কারণে হাইফা, কিরিয়াত আতা এবং পশ্চিম গ্যালিলিসহ উত্তর ইসরায়েলে বিমান হামলার সাইরেন বেজে উঠেছে। খবর আল জাজিরার।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করেছে এবং ক্ষেপণাস্ত্রটি সফলভাবে বাধাগ্রস্ত হয়েছে।

ইয়েমেনের বেশিরভাগ অংশ নিয়ন্ত্রণকারী হুথি বিদ্রোহীরা ইসরায়েলের ওপর বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার দাবি করেছে। এর মধ্যে রয়েছে প্রধান বেন গুরিওন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। গাজায় সংঘাত শুরুর পর ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে ইসরায়েলে হামলা অব্যাহত রেখেছে হুথি বিদ্রোহীরা। এর আগেও ইয়েমেন থেকে ইসরায়েলে হামলা চালানো হয়েছে।

চলতি বছরের জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে শুরু হওয়া ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতির কারণে হামলা বন্ধ রেখেছিল হুথিরা। কিন্তু গত মার্চ থেকে ইয়েমেনে যুক্তরাষ্ট্রের ভয়াবহ হামলার পর তারা আবারও ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা শুরু করে।

এদিকে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ উপত্যকা গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনায় অগ্রগতি না হওয়ায় গভীর হতাশা প্রকাশ করেছেন কাতারের প্রধান মধ্যস্থতাকারী মোহাম্মদ আল-খুলাইফি। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) ফরাসি বার্তাসংস্থা এএফপিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই হতাশা প্রকাশ করেন তিনি।

আল-খুলাইফি বলেন, গত এক মাস ধরে ইসরায়েল পুনরায় গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করার পর আলোচনা থেমে গেছে, কোনো সমঝোতা হয়নি। আলোচনার গতি নিয়ে আমরা স্পষ্টভাবে হতাশ। এটি অত্যন্ত জরুরি একটি বিষয় কারণ প্রতিদিন মানুষের জীবন ঝুঁকির মুখে পড়ছে।

তিনি আরও বলেন, গত কয়েকদিন ধরে আমরা অবিরাম চেষ্টা করছি দুই পক্ষকে আবার আলোচনায় বসাতে ও সেই চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করতে, যা পূর্বে দুই পক্ষই সমর্থন করেছিল। কিন্তু আমরা সফল হয়নি। এরপরও সব ধরনের বাধা পেরিয়ে আমরা এই প্রক্রিয়ায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবো।

গাজায় প্রায় ১৮ মাস ধরে সংঘাত চলছে। সেখানে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৫১ হাজার ২৬৬ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ লাখ ১৬ হাজার ৯৯১ জন আহত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

শেয়ার করুন