পারভেজ হত্যা মামলার প্রধান আসামি মেহেরাজ গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জাহিদুল ইসলাম পারভেজ হত্যা মামলার প্রধান আসামি মেহেরাজ ইসলামকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব।

আজ বুধবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে গাইবান্ধা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ নিয়ে আলোচিত এই হত্যা মামলায় ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

বিকেলে র‍্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লে. কর্নেল আশিকুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, গাইবান্ধা থেকে পারভেজ হত্যা মামলার এক নম্বর আসামি মেহেরাজ ইসলামকে র‌্যাব-১ এবং র‌্যাব-১৩ বিশেষ অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে। তাকে ঢাকায় আনা হচ্ছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত পরে জানানো হবে।

এর আগে মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) কুমিল্লা থেকে এজাহারভুক্ত পাঁচ নম্বর আসামি হৃদয় মিয়াজিকে (২৩) গ্রেফতার করে র‍্যাব। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বনানী থানার যুগ্ম সদস্যসচিব।

এর আগে রোববার মধ্যরাতে ঢাকার মহাখালী ওয়ারলেস গেট এলাকায় অভিযান চালিয়ে পারভেজ হত্যায় তিন জনকে গ্রেফতার করে বনানী থানা পুলিশ। তারা হলেন মো. আল কামাল শেখ ওরফে কামাল (১৯), আলভী হোসেন জুনায়েদ (১৯) ও আল-আমিন সানি (১৯)। তবে তারা কেউ ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নন, মামলার এজাহারেও তাদের নাম নেই। এই তিনজনের সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। তারা এখন রিমান্ডে।

পুলিশ ও মামলার এজাহারের তথ্যমতে, পারভেজ প্রাইমএশিয়ার গলিতে সিঙ্গাড়া খাওয়ার জন্য গিয়েছিলেন। ওই সময় সেখানে দুজন ছাত্রী ছিলেন। ওই ছাত্রীদের দেখে পারভেজ ‘হাসাহাসি’ করেছেন বলে দাবি করে অভিযুক্ত ছাত্রীরা তাদের বন্ধুদের ফোন করেন। পরে বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন উভয়পক্ষকে নিয়ে মীমাংসাও করে দেয়।

কিন্তু মাহাথি, মেহেরাব ও আবুজর গিফফারী হাজারীবাড়ীর কিছু ছেলেকে ডেকে নিয়ে আসেন এবং পারভেজের ওপর হামলা চালান। এসময় পারভেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গেটে দৌড়ে আসার সময় আঘাত পান। তারা তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে বুকে-পিঠে আঘাত করে পালিয়ে যান।

এ ঘটনায় নিহতের চাচাতো ভাই হুমায়ুন কবীর বাদী হয়ে আটজনকে আসামি করে বনানী থানায় মামলা করেন। মামলার আসামিদের মধ্যে কয়েকজন প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি ও আইন বিভাগের শিক্ষার্থী। বাকিরা বহিরাগত।

মামলার আসামিরা হলেন মেহেরাজ ইসলাম (২০), আবুজর গিফফারী পিয়াস (২০), মাহাথির হাসান (২০), সোবহান নিয়াজ তুষার (২৪), হৃদয় মিয়াজি (২৩), রিফাত (২১), আলী (২১) ও ফাহিম (২২)। এছাড়া অজ্ঞাতপরিচয় আরও ২৫-৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

তাদের মধ্যে এজাহারে সোবহান নিয়াজ তুষারের পরিচয় দেওয়া হয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বনানী থানার যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে। হৃদয় মিয়াজির পরিচয় দেওয়া হয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একই ইউনিটের যুগ্ম সদস্য সচিব হিসেবে।

শেয়ার করুন