অপহরণের ৯ দিনের মাথায় মুক্তি পেলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থী

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

খাগড়াছড়িতে অপহৃত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) পাঁচ শিক্ষার্থীকে মুক্তি দিয়েছে অপহরণকারীরা। অপহরণের ৯ দিনের মাথায় তারা মুক্তি পেলেন।

আজ বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি জানান পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি সমর্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের (পিসিপি) কেন্দ্রীয় সভাপতি নিপুণ ত্রিপুরা।

তবে তাদের কোথায় মুক্তি দেওয়া হয়েছে, এবং কখন মুক্তি দেওয়া হয়েছে সে বিষয়ে কিছু বলা হয়নি।

যৌথবাহিনীর অব্যাহত অভিযানের চাপে অপহরণকারীরা তাদের ছাড়তে বাধ্য হয়েছে জানিয়ে খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল বলেন, পিসিপি তাদের প্রেস রিলিজের মাধ্যমে পাঁচ শিক্ষার্থীর মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

এদিকে ২১ এপ্রিল ওই পাঁচ শিক্ষার্থীকে উদ্ধারে ভাইবোনছড়া ইউনিয়নের পূর্ণ চন্দ্র কার্বারী পাড়ায় ইউপিডিএফের গোপন আস্তানায় অভিযান চালায় যৌথবাহিনী।

অভিযানকালে চাঁদা আদায়ের রশিদ, ল্যাপটপ, মোবাইল, সামরিক ইউনিফর্মসহ বিপুল পরিমাণ প্রশিক্ষণ সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।

ওই পাঁচ শিক্ষার্থী হলেন- পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ-পিসিপি চবির শাখা সদস্য রিশন চাকমা ও তার চার বন্ধু চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থী মৈত্রীময় চাকমা, নাট্যকলা বিভাগের দিব্যি চাকমা, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের লংঙি ম্রো এবং চারুকলা বিভাগের অলড্রিন ত্রিপুরা। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার তথ্য, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক রিবেক চাকমা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষার্থীদের মুক্তিতে ভূমিকা রাখার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় ও খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ধন্যবাদ জানান।

এর আগে ১৬ এপ্রিল সকালের দিকে বিঝু উৎসব শেষে খাগড়াছড়ি থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ফেরার পথে জেলা সদরের গিরিফুল এলাকা থেকে ওই শিক্ষার্থীদের তুলে নেওয়ার ঘটনা ঘটে।

ঘটনার শুরু থেকেই পাহাড়ের আঞ্চলিক সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট-ইউপিডিএফকে দায়ী করে আসছেন সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জেএসএস সমর্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি নিপন ত্রিপুরা।

তবে ঘটনার সঙ্গে নিজেদের সম্পৃক্ততার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ইউপিডিএফের জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা।

শেয়ার করুন