রানা প্লাজা ধসের এক যুগ, এখনো ক্ষতিপূরণ পাননি শ্রমিকরা

মত ও পথ ডেস্ক

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি
রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি। ফাইল ছবি

ঢাকা জেলার সাভারে রানা প্লাজা ধসে নিহত শ্রমিকদের স্মরণে পোশাক শিল্পে শোক দিবস ঘোষণা, রানা প্লাজার সামনে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ, ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের এক জীবনের ক্ষতিপূরণসহ নানা দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ ও মোমবাতি প্রজ্বলন করেছেন হতাহত শ্রমিকদের স্বজন, আহত শ্রমিক ও বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) বিকেল থেকে প্রতিবাদ সমাবেশ ও সন্ধ্যায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে সাভারের রানা প্লাজার বেদীর সামনে মোমবাতি জ্বালিয়ে তাদের শ্রদ্ধা জানানো হয়।

বাংলাদেশ গার্মেন্টস ও সোয়েটার্স শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়নের আইন বিষয়ক সম্পাদক খাইরুল মামুন মিন্টু বলেন, রানা প্লাজা দুর্ঘটনার ১২ বছর পূর্ণ হলেও ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করা হয়নি। এটাকে দুর্ঘটনা বললে ভুল হবে, এটি একটি হত্যাকাণ্ড। ক্ষতিগ্রস্ত সবার প্রয়োজনীয় সহায়তা, পুনর্বাসন এবং আহতদের দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা দিতে হবে।

বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড শিল্প শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি রফিকুল ইসলাম সুজন বলেন, শ্রমিকরা আহত হওয়ার পর চিকিৎসার জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরেছেন। তারা এখন পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ পেলেন না। ১২ বছর পার হয়ে গেলো, রাজা প্লাজার ঘটনায় জড়িতদের বিচার আমরা দেখতে পাইনি। অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আমরা বিচার ও ক্ষতিপূরণের দাবি জানাই।

বাংলাদেশ টেক্সটাইল-গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি অ্যাডভোকেট মাহবুব আলম ইসমাইল বলেন, রানা প্লাজার জায়গা ও সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে আহত এবং নিহত শ্রমিকদের পরিবারকে পুনর্বাসন, আহতদের সুচিকিৎসা, সোহেল রানাসহ দায়ী ব্যক্তিদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। ২৪ এপ্রিলকে জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা করতে হবে।

এ সময় বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য ফেডারেশনের মোতালেব হোসেন রতন, সম্মিলিত শ্রমিক ফেডারেশন নাহিদুল ইসলাম নয়ন, রানা প্লাজা সারভাইভার্স অ্যাসোসিয়েশনসহ বিভিন্ন শ্রমিক ও শ্রমিক সংগঠনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল রানা প্লাজা ধসে পড়লে সহস্রাধিক শ্রমিকের মৃত্যু হয়।

শেয়ার করুন