বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, তার দল সবসময় জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি চেয়ে আসছে। কিন্তু বর্তমানে এমন পরিস্থিতি তৈরি করা হচ্ছে যে নির্বাচনের দাবি জানানোও যেন অপরাধ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আজ শুক্রবার আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
৫ আগস্টের পর রাজনীতিতে যুক্ত হওয়া নতুন ২৫টি দলকে স্বাগত জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, আদর্শের ভিন্নতা থাকতে পারে, তবে দেশের স্বার্থে সকল দল এক হয়ে কাজ করবে, এমন প্রত্যাশা আমরা রাখি।
তিনি বলেন, বিরাজনীতিকরণ দেশের গণতন্ত্রের জন্য এক গভীর হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে।
তিনি বলেন, নির্বাচন বিষয়ে কেন সময়ক্ষেপণ করা হচ্ছে? এর ফলে জনগণের মধ্যে উদ্বেগ ও অসন্তোষ সৃষ্টি হচ্ছে। দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা উচিত এবং রাজনৈতিক দলগুলোকে জনগণের সামনে আনার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকেই উদ্যোগ নিতে হবে।
তারেক রহমানের মতে, একমাত্র জবাবদিহিমূলক সরকারই দেশের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্ব সুরক্ষিত রাখতে সক্ষম হবে।
তিনি বলেন, দেশের প্রতিটি রাজনৈতিক দলই রাজনৈতিক সংস্কারের পক্ষে। তবে রাজনৈতিক দলগুলোর অবজ্ঞা করলে তা দেশকে বিরাজনীতিকরণের দিকে ঠেলে দেবে।
তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে রাজনৈতিক দলগুলোর জনগণের আদালতে যাওয়ার সুযোগ তৈরি করার আহ্বান জানান।
এবি পার্টির সভাপতি মুজিবুর রহমান মঞ্জুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন জাপার একাংশের চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, এনসিপির সভাপতি নাহিদ ইসলাম, ইসলামী ঐক্যজোটের মামুনুল হক, গণ অধিকার পরিষদ সভাপতি নুরুল হক নুর, গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ প্রমুখ।