রোমারিও শেফার্ড উইকেটে যখন এসেছেন, তখন ইনিংসে বল বাকি ১৪। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর রান ৫ উইকেটে ১৫৭। সেখানে নেমে মাত্র ১৪ বলে ফিফটি করেছেন শেফার্ড। যা আইপিএলে দ্রুততম ফিফটির তালিকায় যৌথভাবে দ্বিতীয়।
সবচেয়ে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড যশস্বী জয়সোয়ালের, ১৩ বলে। চেন্নাইয়ের বিপক্ষে শেষ ২ ওভারে বেঙ্গালুরু তুলেছেন ৫৪ রান। আইপিএলে ইনিংসের শেষ ২ ওভারে এত রান আগে কখনো হয়নি। তাতে একটা সময়ে ১৮০ হবে কি না সেই শঙ্কায় থাকা বেঙ্গালুরু তুলেছে ২১৩ রান।
এ সব কৃতিত্বই শুধু শেফার্ডের। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে তিনি ও টিম ডেভিড ১৫ বলে ৫৬ রানের জুটি গড়েছেন, যেখানে শেফার্ডের অবদানই ১৪ বলে ৫৩। এই জুটিতে মাত্র একটি বল খেলার সুযোগ পেয়েছেন ডেভিড। যেহেতু শেফার্ড বাকি থাকা ১৪টি বলই খেলেছেন, তাই সেটিও তার পাওয়ার কথা না। তবে ১৯তম ওভারে খলিল আহমেদের একটি বলে নো বল করায় সেই সুযোগ পেয়েছেন।
চেন্নাইয়ের হয়ে এদিন শেষ দুই ওভার বোলিং করেছেন খলিল ও পাতিরানা। ইনিংসের ১৯তম ওভারে খলিলের এক ওভারেই শেফার্ড তোলেন ৩৩ (একটি নোসহ)।
আইপিএলে চেন্নাইয়ের হয়ে খেলা কোনো বোলারের করা এটিই সবচেয়ে খরুচে ওভার। এরপর পাতিরানার শেষ ওভারে ওঠে ২৪।
শেষ ২ ওভারে এদিন শেফার্ড নিয়েছেন ৫২। টি-টোয়েন্টিতে শেষ ২ ওভারে এর চেয়ে বেশি রান কেউ কোনো দিন নিতে পারেননি। সমান ৫২ রানই তুলেছিলেন নেপালের দীপেন্দ্র সিং ঐরি।