রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করে আদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত।
এ সংক্রান্ত বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিল আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (৬ মে) সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. রেজাউল হকের চেম্বার জজ আদালত এ আদেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনিক আর হক। এছাড়া চিন্ময় দাসের আইনজীবী অপূর্ব কুমার ভাট্টাচার্য জানান, লিভ টু আপিল করা পর্যন্ত হাইকোর্টের জামিনাদেশ স্থগিত করছেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানিতে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক। চিন্ময় দাসের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী এম কে রহমান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না ও অ্যাডভোকেট অপূর্ব কুমার ভাট্টাচার্য।
গত ৩০ এপ্রিল হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমান ও বিচারপতি মো. আলী রেজার সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন। ওই দিন রাতেই চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।
এদিকে চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম হত্যা মামলায় সোমবার (৫ মে) চিন্ময় দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেফতার দেখানোর (শ্যোন অ্যারেস্ট) আদেশ দেন আদালত।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম এস এম আলাউদ্দিন মাহমুদ ভার্চুয়াল শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। মামলার শুনানিকালে চিন্ময় দাসকে জেলখানা থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত করা হয়।
এছাড়া চট্টগ্রামে পুলিশের কাজে বাধা-ভাঙচুরসহ বিভিন্ন অভিযোগে করা আরও চারটি মামলায় মঙ্গলবার (৬ মে) চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতার দেখানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম এস এম আলাউদ্দিন মাহমুদ ভার্চুয়াল শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেফতার চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন নামঞ্জুর হওয়া নিয়ে গত বছরের ২৬ নভেম্বর চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে সংঘর্ষ হয়। ওই সময় আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় জামিন নামঞ্জুর হওয়ার পর চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গত বছরের ২৬ নভেম্বর কারাগারে নেওয়া হয়।
গত বছরের ৩১ অক্টোবর নগরের চান্দগাঁও মোহরা ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ খান বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাসসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মামলা করেন। পরে ফিরোজ খানকে বিএনপি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এ মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণসহ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়।