যুক্তরাষ্ট্র ও চীন প্রাথমিকভাবে তাদের নিজেদের পণ্যের ওপর ৯০ দিনের জন্য আরোপিত ১১৫ শতাংশ শুল্ক প্রত্যাহারে প্রাথমিকভাবে একমত হয়েছে।
সোমবার (১২ মে) সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় চীনা-মার্কিন শীর্ষ কর্মকর্তাদের দীর্ঘ বাণিজ্য আলোচনার পর দুই দেশের যৌথ বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র চীনা পণ্যের ওপর সাময়িকভাবে তার শুল্ক ১৪৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩০ শতাংশে নিয়ে আনবে। অন্যদিকে চীন মার্কিন পণ্যের ওপর তার শুল্ক ১২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করবে।
এর আগে বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনায় চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বড় অগ্রগতি হয়েছে বলে মন্তব্য করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
রোববার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে লেখেন, ‘সুইজারল্যান্ডে চীনের সঙ্গে ভালো বৈঠক হয়েছে। অনেক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রেই ঐকমত্য হয়েছে’।
প্রসঙ্গত, চলতি বছর মার্চে প্রথমবার চীনের সব ধরনের পণ্যের ওপর ২০ শতাংশ রপ্তানি শুল্ক আরোপ করেন ট্রাম্প। পরে ২ এপ্রিল এক ঘোষণায় জানান, চীনের ওপর ধার্যকৃত শুল্ক ৩৪ শতাংশে উন্নীত করা হয়েছে।
পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে তার পরের দিনই মার্কিন পণ্যের ওপর ৩৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে বেইজিং। এতে ব্যাপক ক্ষুব্ধ হন ট্রাম্প এবং ৭ এপ্রিল সোমবার নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে পোস্ট করা এক বার্তায় বলেন, বেইজিং যদি মঙ্গলবার ৮ এপ্রিলের মধ্যে এই শুল্ক প্রত্যাহার না করে— তাহলে সব ধরনের চীনা পণ্যের ওপর রপ্তানি শুল্ক আরও ৫০ শতাংশ বাড়ানো হবে এবং ৯ এপ্রিল বুধবার থেকে তা কার্যকর হবে।
ট্রাম্পের কথা অনুযায়ী ৯ এপ্রিল থেকে চীনা পণ্যের ওপর কার্যকর হয়েছে বর্ধিত শুল্ক। এতে যুক্তরাষ্ট্রে চীনা পণ্যের ওপর মোট আরোপিত শুল্ক পৌঁছায় ১০৪ শতাংশে। এর জবাবে ৯ এপ্রিল মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়িয়ে ৮৪ শতাংশে উন্নীত করে চীন।
বেইজিংয়ের এ পদক্ষেপের পর ৯ এবং ১০ এপ্রিল দুই দফায় চীনের ওপর ধার্যকৃত শুল্ক বৃদ্ধি করেন ট্রাম্প। সর্বশেষ ১০ এপ্রিল রাতে, চীনা পণ্যের ওপর ধার্যকৃত শুল্পের পরিমাণ ১৪৫ শতাংশে উন্নীত করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। এর পরের দিনই মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্ক বৃদ্ধি করে ১২৫ শতাংশে উন্নীত করে বেইজিং।