মোবাইলে আর্থিক সেবাদাতা (এমএফএস) প্রতিষ্ঠান ‘নগদ’ পরিচালনায় প্রশাসক নিয়োগ নিয়ে করা রিটটি গ্রহণযোগ্য নয় বলে তা খারিজ করে হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছিলেন, তা আট সপ্তাহের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে আবেদনকারীকে নিয়মিত লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) দায়ের করতে হবে।
মঙ্গলবার (১৩ মে) এসব তথ্য জানান আবেদনকারী পক্ষের আইনজীবী। তিনি জানান, হাইকোর্টের রায় স্থগিত করে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত গত ৭ মে ওই আদেশ দেন। আদেশের অনুলিপি সোমবার হাতে পেয়েছেন তিনি।
এর আগে নগদে প্রশাসক নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে প্রতিষ্ঠানটির স্বতন্ত্র পরিচালক মো. শাফায়েত আলম গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর রিট করেন। চূড়ান্ত শুনানি শেষে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রিটটি গ্রহণযোগ্য নয় বলে খারিজ করে রায় (রুল ডিসচার্জ) দেন।
ঘোষিত রায়ে আদালত বলেন, নগদ বাংলাদেশ ডাক বিভাগের এজেন্ট। আইন বাস্তবায়ন করেই বাংলাদেশ ব্যাংক সেখানে প্রশাসক নিয়োগ দিয়েছে।
হাইকোর্টের এই রায় স্থগিত চেয়ে শাফায়েত আলম আপিল বিভাগে আবেদন করেন, যা আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে গত ৭ মে ওঠে। সেদিন শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. রেজাউল হক হাইকোর্টের রায় আট সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেন।
রিট আবেদনকারীপক্ষের অন্যতম আইনজীবী জামিলুর রহমান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘হাইকোর্টের রায় আট সপ্তাহের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। ফলে এই সময়ে প্রশাসক কার্যক্রম চালাতে পারবেন না।’
গত বছরের ২১ আগস্ট বাংলাদেশ ব্যাংক নগদে প্রশাসক নিয়োগ বিষয়ে অভ্যন্তরীণ আদেশ জারি করে। প্রশাসক নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে নগদের স্বতন্ত্র পরিচালক মো. শাফায়েত আলমের করা রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট প্রশাসক নিয়োগ প্রশ্নে রুল দেন। প্রশাসক নিয়োগ কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, রুলে তা জানতে চাওয়া হয়।
রুল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় প্রশাসকের নীতিগত কার্যক্রম পরিচালনা নিয়ে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে রিট আবেদনকারী সম্পূরক আবেদন করেন। এর শুনানি নিয়ে গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর হাইকোর্ট প্রশাসকের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কার্যক্রম পরিচালনায় পক্ষগুলোকে অন্তর্বর্তী সময়ের জন্য স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে নির্দেশ দেন। পরে মেয়াদ বাড়ানো হয়। চূড়ান্ত শুনানি শেষে রিটটি গ্রহণযোগ্য নয় বলে রুল ডিসচার্জ (খারিজ) করে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রায় দেন।