পারভেজ হোসেন ইমনের ঝড়ো সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশ ১৯১ রানের বড় সংগ্রহ করেছিল। তারই দেখানো পথে হাঁটতে শুরু করেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের অধিনায়ক মুহাম্মদ ওয়াসিম। তার ঝড়ো ব্যটিং বাংলাদেশকে লম্বা সময় অস্বস্তিতে রেখেছিল। তবে তার আউটের পর সেই ছন্দ ধরে রাখতে পারেনি স্বাগতিকরা। ডেথ ওভারে বাংলাদেশ দারুণ বোলিংয়ে ম্যাচ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয়। শেষ বলে তাদের ১৬৪ রানে অলআউট করে ২৭ রানে প্রথম টি-টোযেন্টি জিতলো লিটন দাসের দল।
ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা আসিফ খানকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে জয়ের দ্বারপ্রান্তে নেন হাসান মাহমুদ। ১৯তম ওভারে আমিরাতের ব্যাটারকে ফেরান তিনি। ২১ বলে ৩ চার ও ৪ ছয়ে ৪২ রান করে থামেছেন আসিফ। তাওহীদ হৃদয়কে ক্যাচ দেন তিনি। ১৮.২ ওভারে ৮ উইকেটে ১৫৭ রান আমিরাতের। শেষ ৬ বলে ৩৪ রানের সমীকরণ দাঁড়ায় স্বাগতিকদের সামনে।
শেষ ওভারের প্রথম বলে নাজমুল হোসেন শান্তর ক্যাচ হয়ে মেহেদী হাসানের শিকার হন হায়দার আলী। পঞ্চম বলে শান্ত ক্যাচ ছেড়ে স্বাগতিকদের অলআউট করার সুযোগ হারায় বাংলাদেশ। তবে শেষ বলে মেহেদী আমিরাতের শেষ উইকেট তুলে নেন।
বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন হাসান মাহমুদ।
শনিবার শারজায় প্রথম টি-২০তে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিং পাঠান আমিরাতের অধিনায়ক মোহাম্মদ ওয়াসিম।
এদিন বাংলাদেশের হয়ে ইনিংস ওপেন করেন দুই তরুণ ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও পারভেজ হোসেন ইমন। ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ওভারেই চার-ছক্কা হাঁকিয়ে ভালো শুরুর আভাস দেন তামিম। তবে সাজঘরে ফিরেছেন উইকেটে থিতু হওয়ার আগেই। দ্বিতীয় ওভারের চতুর্থ বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে উইকেটরক্ষকের গ্লাভসে ধরা পড়েন তামিম। সাজঘরে ফেরার আগে ৯ বলে ১০ রান এসেছে এই ওপেনারের ব্যাট থেকে।
তিন নম্বরে নেমে সুবিধা করতে পারেননি অধিনায়ক লিটনও। ষষ্ঠ ওভারের প্রথম বলে মোহাম্মদ জাওয়াদউল্লাহর দারুণ একটি ইয়র্কারে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন বাংলাদেশের অধিনায়ক। ৮ বলে ১১ রান করেন তিনি। পাওয়ার প্লে’তে বাংলাদেশ করে দুই উইকেটে ৫৫ রান।
এরপর তাওহিদ হৃদয়-জাকের আলিরা শুরু পেলেও উইকেটে থিতু হতে পারেননি। এ ছাড়া শেখ মেহেদি-শামিম পাটোয়ারীরাও দ্রুত ফিরেন। তবে এক প্রান্তে ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মাঝেও আরেক প্রান্তে রীতিমতো ঝড় তোলেন পারভেজ ইমন। শেষ পর্যন্ত তার ইনিংস থামে ৫৪ বলে ১০০ রানে। আর ২০ ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৯১ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ।
আমিরাতের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন জাওয়াদুল্লাহ।