টানা বৃষ্টি ও ভারতের মেঘালয়ে ভারি বর্ষণে শেরপুরের বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বাড়ছে। এতে বন্যার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (২০ মে) সকালে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আখিনুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, চেল্লাখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ১০৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সোমবার রাতে এই নদীর পানি বিপৎসীমার ৩৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। একইভাবে ভোগাই নদীর পানি (নকুগাঁও পয়েন্ট) বিপৎসীমার ৩৭৯ সেন্টিমিটার নিচে, নালিতাবাড়ী পয়েন্টে বিপৎসীমার ২৫৭ সেন্টিমিটার নিচে ও পুরাতন ব্রহ্মপুত্র পয়েন্টে বিপৎসীমার ৬৮৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
জেলা কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, জেলায় এখনো ৬ শতাংশ ধান কাটা বাকি রয়েছে। কেটে নেওয়া অনেক ধান এখনো মাড়াই হয়নি। অনেক কৃষকের খড় এখনো কাঁচা। টানা বৃষ্টিপাতে অনেকের কেটে নেওয়া ধান ও খড় বৃষ্টির পানিতে পচে যাচ্ছে।
শেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন জানান, ‘৯৪ ভাগ ধান কাটা শেষ হয়েছে। বাকি ধান দ্রুত কাটার জন্য কৃষকদেরও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আশাকরি এক সপ্তাহের মধ্যে সব ধান কাটা শেষ হবে।’
ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আশরাফুল আলম রাসেল বলেন, ‘বৃষ্টি ও উজানের ঢলে পানি বেড়েছে। তবে এখনো পরিস্থিতি স্বাভাবিক এবং আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি।