খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ড. মো. হযরত আলীর প্রতি অনাস্থা জানিয়ে দ্রুত তাকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।
আজ বুধবার (২১ মে) দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে কুয়েটের প্রশাসনিক ভবনের সভাকক্ষে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভা শেষে ব্রিফিংয়ে এ দাবি জানায় শিক্ষক সমিতি।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. ফারুক হোসেন শিক্ষক সমিতির পক্ষে জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি-বিধানের প্রতি শ্রদ্ধাশীল না থাকা, ছাত্র-শিক্ষকদের দাবির প্রতি অবজ্ঞা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভাবকের দায়িত্বে থেকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন না করায় বর্তমান উপাচার্যের প্রতি অনাস্থা জানিয়েছেন শিক্ষকরা। এজন্য তাকে দ্রুত পদত্যাগ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, উপাচার্য দাপ্তরিক কাজের কথা বলে ১৯ মে ঢাকায় যান। শিক্ষকদের বলেছিলেন, পরদিন ফিরে আসবেন। কিন্তু এখনো তিনি ক্যাম্পাসে ফিরে আসেননি। তিনি কুয়েটের যে গাড়ি নিয়ে গিয়েছিলেন তা ফেরত পাঠিয়েছেন। তিন দিন ধরে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করলেও কর্ণপাত করেননি। বর্তমানে কুয়েট অভিভাবক শূন্য। এ অবস্থায় পূর্ণাঙ্গ উপাচার্য নিয়োগ দিতে হবে।
এরআগে, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে সংঘর্ষের ঘটনায় ২৫ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকে অচলাবস্থা চলছে। পরে শিক্ষার্থীদের এক দফা আন্দোলন ও আমরণ অনশনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৫ এপ্রিল উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যকে অপসারণ করে সরকার। গত ১ মে অন্তর্বর্তী উপাচার্য হিসেবে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. হযরত আলীকে নিয়োগ দেওয়া হয়।
সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৪ মে থেকে ক্লাস শুরুর কথা থাকলেও অ্যাকাডেমিক কার্যক্রমে ফেরেননি শিক্ষকরা। ছাত্রদের হাতে শিক্ষক লাঞ্ছিতের বিচার না পাওয়া পর্যন্ত ক্লাসে ফিরবেন না বলে জানিয়েছে কুয়েট শিক্ষক সমিতি।