ইইউ’র পণ্যে ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি ট্রাম্পের

মত ও পথ ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি : সংগৃহীত

আগামী মাসের শুরু থেকেই ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশগুলোর পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুক্রবার (২৩ মে) এমন সতর্কতা দিয়ে তিনি বলেছেন, ইইউ’র সঙ্গে আমাদের আলোচনা একেবারেই ফলপ্রসূ হচ্ছে না। তাই আমি সরাসরি ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের সুপারিশ করছি।

ট্রাম্পের এই ঘোষণাকে ইইউর সঙ্গে চলমান বাণিজ্য যুদ্ধের নতুন মাত্রা হিসেবেই দেখা হচ্ছে। শুরুতে তিনি ইউরোপের পণ্যে ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপের প্রস্তাব দিলেও আলোচনার সুযোগ দিতে তা ১০ শতাংশে নামিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে আলোচনার জন্য ৮ জুলাই পর্যন্ত সময় দেন। সেই সময়সীমা পার না হলেও তিনি অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের হুমকি দিলেন।

এদিকে, শুধু ইউরোপ নয়; অ্যাপলের আইফোন আমদানিতেও বাড়তি শুল্কের হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, বলেন, আমি অনেক আগেই অ্যাপলের সিইও টিম কুককে জানিয়েছি, যুক্তরাষ্ট্রে বিক্রি হওয়া আইফোনগুলো অবশ্যই দেশেই তৈরি হতে হবে, ভারত বা অন্য কোথাও নয়। তা নাহলে অ্যাপলকে অন্তত ২৫ শতাংশ শুল্ক দিতে হবে।

সম্প্রতি অ্যাপল জানিয়েছিল, তারা চীনের পরিবর্তে ভারত ও ভিয়েতনামে আইফোন ও অন্যান্য ডিভাইস উৎপাদন বাড়াচ্ছে, যার জবাবেই ট্রাম্প এই হুমকি দিলেন বলে মনে করা হচ্ছে।

বিশ্লেষকদের মতে, এটি এখনো একটি হুমকি মাত্র, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নয়। ইউরোপের রিফর্ম সেন্টারের বাণিজ্য বিশেষজ্ঞ আসলাক বার্গ বলেন, “এটি এখনো কার্যকর কোনো নির্বাহী আদেশ নয়। তবে ইইউ সম্ভবত ঠান্ডা মাথায় আলোচনা চালিয়ে যাবে।

ট্রাম্প বারবার অভিযোগ করেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন নাকি মার্কিন কোম্পানিগুলোর প্রতি বৈষম্যমূলক নীতি গ্রহণ করেছে। বিশেষ করে জার্মানি থেকে বিপুল পরিমাণে গাড়ি আমদানি নিয়ে তিনি অসন্তুষ্ট।

ভলভোর সিইও হাকান স্যামুয়েলসন জানান, ৫০ শতাংশ শুল্ক কার্যকর হলে বেলজিয়ামে তৈরি আমাদের ইএক্স৩০ মডেলের বৈদ্যুতিক গাড়ি যুক্তরাষ্ট্রে বিক্রি কঠিন হয়ে পড়বে। তবে তিনি আশা প্রকাশ করেন, দুই পক্ষের মধ্যে শিগগিরই সমঝোতা হবে।

হোয়াইট হাউজে দ্বিতীয়বার ফিরে আসার পর থেকেই বিশ্বজুড়ে একাধিক দেশের ওপর শুল্ক আরোপ ও হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প। তার মতে, এই পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রের উৎপাদন খাতকে চাঙা করবে এবং বিদেশি প্রতিযোগিতা থেকে দেশীয় কর্মসংস্থানকে রক্ষা করবে। বিশ্ববাণিজ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ট্রাম্পের এই নীতি মার্কিন শিল্পকে সাময়িক সুরক্ষা দিলেও, বৈশ্বিক সরবরাহ ব্যবস্থায় চরম অস্থিরতা ডেকে আনতে পারে।

সূত্র: বিবিসি

শেয়ার করুন