প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে শনিবার বিএনপির প্রতিনিধি দলের বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে লিখিত বার্তা দেওয়া হয় প্রধান উপদেষ্টাকে। এতে বিএনপি জানায়, স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের পক্ষপাতমূলক আচরণ সরকারের ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ন করছে।
শনিবার (২৪ মে) রাতে যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে চার সদস্যর ওই প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
লিখিত বার্তায় বিএনপি আরও জানায়, রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটি ‘সংস্কার সনদ’ তৈরির প্রক্রিয়ার মধ্যেই আলাপ-আলোচনা অব্যাহত থাকা সত্ত্বেও একই বিষয়গুলো নিয়ে এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবিতে একটি দলের নির্বাচন কমিশন ঘেরাও কর্মসূচি আমাদের এবং সরকারকে বিব্রত করে। সার্চ কমিটির মাধ্যমে আইনানুযায়ী নির্বাচন কমিশন গঠিত হলেও একটি মহল নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন চায়। সরকার সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানসমূহ পুনর্গঠনের প্রক্রিয়ায় সব ক্ষেত্রে আমাদের মতামত না নিলেও নির্বাচন কমিশন গঠনের ক্ষেত্রে সব পক্ষকে অন্তর্ভুক্ত করে এই কমিশন গঠন করেছে।
কিন্তু ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সংক্রান্ত বিষয়ে আদালতের রায় অনুযায়ী গেজেট নোটিফিকেশন করায় নির্বাচন কমিশনকে অন্যায় ও অযৌক্তিকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করা হচ্ছে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্যই দেশের জনগণ রক্ত দিয়ে গণ-অভ্যুত্থান করেছে সুতরাং আমাদের আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ থাকতে হবে। আমরা আশা করবো, অতিসত্ত্বর সরকার ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন মেয়র হিসাবে ইশরাক হোসেনকে শপথ গ্রহণ করানোর ব্যবস্থা নেবে।
বিএনপির লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, জুলাই-ছাত্র গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করে দেশের মানুষের হারানো গণতান্ত্রিক অধিকার, সাংবিধানিক অধিকার, মানবাধিকার ও ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করাই এখন জাতির সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। জনগণের সেই আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী অবিলম্বে একটি নির্বাচিত রাজনৈতিক সরকার গঠনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে।