ইউনূসের সাক্ষাৎ চেয়ে চিঠি দিয়েছেন টিউলিপ সিদ্দিক

মত ও পথ ডেস্ক

ভুল বোঝাবোঝি দূর করতে লন্ডনে অন্তর্বতী সরকারের প্রধান প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করতে চান যুক্তরাজ্যের সাবেক সিটি মিনিস্টার টিউলিপ সিদ্দিক। এরইমধ্যে ড. ইউনূসকে চিঠি দিয়েছেন টিউলিপ।

আজ রোববার (৮ জুন) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, একটি চিঠি পাঠিয়ে এই অনুরোধ করেছেন টিউলিপ।

জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক।

৪ মে পাঠানো চিঠিতে ব্রিটিশ এমপি বলেছেন, বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ অভিযোগের বিষয়ে এই বৈঠকে ‘ভুল বোঝাবুঝি’ দূর করতে চান তিনি।

এদিকে আগামী সোমবার (৯ জুন) লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস। চার দিনের (১০ থেকে ১৩ জুন) এই সরকারি সফরে যুক্তরাজ্যে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব পাচ্ছে বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান ও নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে লেখা একটি চিঠি লিখেছেন টিউলিপ। লন্ডন সফরে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস। এ সময় রাজা চার্লস ও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়্যার স্টারমারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন তিনি। ড. ইউনূসের এই সফরকালে আলোচনার সুযোগ চেয়েছেন টিউলিপ।’

চিঠিতে টিউলিপ লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যিনি আমার খালা, তার সঙ্গে আমার সম্পর্ক ও জড়িত থাকার বিষয়ে আমাকে প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হবে—দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অভিযোগ থেকে এই যে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছে তা এই সাক্ষাৎ দূর করতে পারবে বলে আমি আশা করি। আমি একজন যুক্তরাজ্যের নাগরিক। আমার জন্ম লন্ডনে এবং ব্রিটিশ পার্লামেন্টে গত এক দশক ধরে হ্যাম্পস্টেড ও হাইগেটের জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে আসছি।’

টিউলিপ সিদ্দিক আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে আমার হৃদয়ের টান রয়েছে কিন্তু সেখানে আমার কোনো সম্পত্তি বা ব্যবসায়িক স্বার্থ নেই। আমি ওই দেশে জন্মাইনি, থাকি না, এমনকি আমার পেশাগত জীবনও গড়ে উঠেনি সেখানে। দুদককে আমি এ বিষয়ে পরিষ্কার করতে চেয়েছিলাম কিন্তু তারা লন্ডনে আমার আইনজীবীদের সঙ্গে কোনো ধরনের যোগাযোগে আগ্রহ দেখায়নি। বরং তারা বারবার ঢাকার একটি ঠিকানায় এলোমেলোভাবে চিঠিপত্র পাঠাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ‘এই কাল্পনিক তদন্তের প্রতিটি ধাপ গণমাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে, অথচ আমার আইনি দলের সঙ্গে কোনো ধরনের আনুষ্ঠানিক যোগাযোগ করা হয়নি। আমি জানি আপনি নিশ্চয়ই বোঝেন, এমন প্রতিবেদন যেন আমার নির্বাচনী এলাকার জনগণ ও আমার দেশের প্রতি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনে কোনো ব্যাঘাত না ঘটায়, সেটি নিশ্চিত করা কতটা জরুরি।’

টিউলিপের দাবি, তিনি তাঁর খালার বিরোধীদের পরিচালিত একটি ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কুৎসা অভিযানের’ লক্ষ্যে পরিণত হয়েছেন।

শেয়ার করুন