জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) বিষয়ে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এম নাসের রহমান বলেছেন, ‘আগামী নির্বাচনে বাচ্চাদের পার্টি কোনো বিষয়ই নয়। এদের শহরে ছিটেফোঁটা সমর্থন থাকলেও গ্রামাঞ্চলে বা মফস্বলে তাদের কোনো অস্তিত্বই নেই।
মঙ্গলবার (১০ জুন) মৌলভীবাজার সদর উপজেলার বাহারমর্দনে প্রয়াত অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রীর গ্রামের বাড়িতে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এম নাসের রহমান বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে আমাদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী একটা দল হবে- সেটা জামায়াতে ইসলামী। আর জামায়াতে ইসলামীর সম্পর্কে দেশবাসী ভালো জানে। তারা গোপনে বিভিন্ন ধরনের ক্যাম্পেইন চালায়। নির্বাচনী বৈতরণি পার হতে এসবে তাদের কোনো কাজ হবে না। কিন্তু এটা যেন বিএনপির নেতাকর্মীদের মনে না জাগে- বিএনপির প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে কার সাথে?’
তিনি বলেন, ‘আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বারবার বলেছেন, আগামী নির্বাচন অনেক কঠিন হবে। নির্বাচনের দিন যত ঘনিয়ে আসবে, তখন অনেক কিছুই সামনে আসবে। এজন্য সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দলের কাজ করে যেতে হবে।
তবে তিনি দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের সতর্ক করে বলেন, এজন্য বিএনপির নেতাকর্মীরা যেন ওই আনন্দে না থাকি, যে জামায়াতে ইসলামী আছে আর কেউ নাই। সামনে নির্বাচন হঠাৎ করে অনেক কিছুই সামনে আসতে পারে। কারণ,আগামী কয়েক মাস- ডিসেম্বর পর্যন্ত খুব বেশি একটা চড়াই উৎরাইয়ের মধ্যে দেশ যাবে। এজন্য দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের আরও সাবধান ও সজাগ থাকার আহ্বান জানাই।
নির্বাচনে তারিখ নিয়ে নাসের রহমান বলেন, সব কিছু যদি ঠিকঠাক থাকে এপ্রিল মাসের আগেই দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেজন্য সকলে প্রস্তুতি এখন থেকেই নিতে হবে। দলের দেয়া ৩১ দফা ও বিএনপির ক্ষমতায় গেলে ১৮০ দিনের পরিকল্পনা জনগণের সামনে তুলে ধরে সকল শ্রেণি-পেশার ভোটারদের আকৃষ্ট করতে হবে।
জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম নাসের রহমানের আয়োজনে এ ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে সারা জেলার বিএনপির নেতাকর্মীদের ঢল নামে। এতে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এম এ মুকিত, মো. ফখরুল ইসলাম, বকসি মিসবাহ উর রহমান, মুজিবুর রহমান মজনু, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক এম এ মোহিত, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ইসহাক আহমদ চৌধুরী মামনুন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।