ইরানে ইসরায়েলি হামলায় দুই পরমাণুবিজ্ঞানী নিহত

মত ও পথ ডেস্ক

ইরানে ইসরায়েলি হামলা। সংগৃহীত ছবি

ইরানে ইসরায়েলি হামলায় ইরানের দুই পরমাণুবিজ্ঞানী নিহত হয়েছেন। তাঁরা হলেন, ফেরেদুন আব্বাসি ও মোহাম্মদ মেহদি তেহরানচি। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে নিহত দুই বিজ্ঞানীর নাম প্রকাশ করা হয়েছে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফেরেদুন আব্বাসি ইরানের আণবিক শক্তি সংস্থার (এইওআই) সাবেক প্রধান। ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রগুলোর দেখাশোনা করে থাকে এইওআই। ২০১০ সালে তেহরানের একটি সড়কে তাঁকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। তখন প্রাণে বেঁচে যান তিনি। নিহত অপর বিজ্ঞানী মোহাম্মদ মেহদি তেহরানচি তেহরানের ইসলামিক আজাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট ছিলেন।

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী বলছে, ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রগুলোতে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। তেহরানসহ বেশ কয়েকটি স্থানে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। এ হামলায় ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের (আইআরজিসি) প্রধান মেজর জেনারেল হোসেইন সালামিও নিহত হয়েছেন। শুক্রবার ভোরে ইরানের রাজধানী তেহরানসহ একাধিক স্থানে হামলা চালায় ইসরায়েল। এ সময় তেহরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডের (আইআরজিসি) সদর দপ্তরে হামলা হয়েছে বলে জানায় ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন। হামলার সময় আইআরজিসি-এর সদর দপ্তরে ছিলেন হোসেইন সালামি।

হোসেইন সালামি ২০১৯ সাল থেকে বিপ্লবী গার্ডস বাহিনীর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। ইরানের পরমাণু ও সামরিক কৌশল নির্ধারণে তিনি ছিলেন অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। তার নেতৃত্বেই ইরান আঞ্চলিক প্রভাব বিস্তারে একাধিক সামরিক কার্যক্রম চালিয়ে এসেছে, বিশেষত ইরাক, সিরিয়া ও লেবাননে।

ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডস মূলত একটি সামরিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক শক্তি যা দেশটির ইসলামি শাসন ব্যবস্থার প্রতি ভেতর ও বাইরে থেকে আসা যে কোনো হুমকিকে প্রতিরোধে কাজ করে।

বিবিসি বলছে, আইআরজিসি ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর একটি শক্তিশালী শাখা, যার রাজনৈতিক, সামরিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব দেশটির ভেতরে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গার্ডস বাহিনী বিশেষত ইরানের পরমাণু কর্মসূচি এবং আঞ্চলিক কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

শেয়ার করুন