গাজা উপত্যকায় মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৭৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ১৪ জন নিহত হন ত্রাণ সহায়তার জন্য অপেক্ষারত অবস্থায়। এসব জানিয়েছে গাজার আল-আকসা শহীদ হাসপাতাল ও আল-আওদা হাসপাতালের চিকিৎসা সূত্র।
একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, গাজা যুদ্ধ বন্ধে ‘বড় অগ্রগতি’ হচ্ছে এবং যুদ্ধবিরতির চুক্তি ‘খুব কাছাকাছি’।
ত্রাণকেন্দ্রেই মৃত্যু ফাঁদ
আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজার কেন্দ্রে নেতসারিম জংশনের কাছে গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ)-এর একটি বিতরণকেন্দ্রের সামনে অপেক্ষমাণদের ওপর ইসরায়েলি বাহিনী গুলি চালায়। সমালোচকরা এই বিতরণকেন্দ্রগুলোকে আখ্যা দিয়েছেন ‘মৃত্যুকূপ’ ও ‘মানব বধ্যভূমি’ হিসেবে।
জিএএইচএফের বিতরণকেন্দ্রগুলোর অবস্থান ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর ট্যাংক ও স্নাইপার ঘেরা এলাকায় হওয়ায় জনসমাগমের সময় বেসামরিক মানুষের জীবন ঝুঁকিতে পড়ে বলে জানিয়েছেন আল-জাজিরার গাজা প্রতিনিধি হানি মাহমুদ। তার কথায়, ‘মাত্র ২০ মিনিট সময় দেওয়া হয় খাবার সংগ্রহের জন্য। এরপরই গুলিবর্ষণ শুরু হয়।’
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে এ পর্যন্ত অন্তত ৫৬ হাজার ১৫৬ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ লাখ ৩২ হাজার ২৩৯ জন আহত হয়েছেন। নিখোঁজ রয়েছেন আরও কয়েক হাজার মানুষ, যাদের জীবিত থাকার সম্ভাবনা নেই বলেই ধরে নেওয়া হয়।
ট্রাম্পের কূটনীতি ও সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি
নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগ শহরে অনুষ্ঠিত ন্যাটো সম্মেলনের ফাঁকে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, আমার মনে হয় গাজা নিয়ে ভালো কিছু হচ্ছে, বিশেষ করে ইরানে আমরা যে হামলা চালিয়েছি, সেটা এ অঞ্চলে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
ট্রাম্প জানান, তার মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ তাকে জানিয়েছেন, গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি এখন ‘খুব কাছাকাছি’। কাতার ও মিসরের মধ্যস্থতায় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে আলোচনা এগিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে বিভিন্ন সূত্র।
সূত্র: আল-জাজিরা