ইরান যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় বসতে যাচ্ছে বলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দাবি নাকচ করে দিলেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে এক সাক্ষাৎকারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ইরানের যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বৈঠকের কোনো পরিকল্পনা নেই।
আরাঘচি জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র নিজের স্বার্থে এই আলোচনায় বসতে চাচ্ছে কি না, তা মূল্যায়ন করছে তেহরান।
এর আগে বুধবার (২৫ জুন) ন্যাটো সম্মেলন শেষে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানান, সম্প্রতি ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধের কারণে ওয়াশিংটন-তেহরান আলোচনা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। সেই আলোচনা আগামী সপ্তাহে শুরু হবে। ট্রাম্প আরও জানান, ওই সময় দুই দেশের মধ্যে চুক্তিও স্বাক্ষর হতে পারে।
ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স লিখেছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েল বলেছে, ইরানের ওপর হামলা ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির ক্ষমতা রোধ করার জন্য করা হয়েছে। অন্যদিকে ইরান বলেছে, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি কেবল বেসামরিক ব্যবহারের জন্য।
আরাঘচি বলেন, পারমাণবিক স্থাপনার ক্ষতি কম ছিল না এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির নতুন বাস্তবতা খুঁজে বের করছে।
গত ১৩ জুন ইরানের ওপর হামলা শুরু করে ইসরায়েল। ওই সময় দেশটির পারমাণবিক স্থাপনা, সামরিক ঘাঁটি ও আবাসিক এলাকার ওপর চালানো হয় হামলা। এতে বেশ কয়েকজন শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা, পরমাণুবিজ্ঞানী ও সাধারণ নাগরিক নিহত হন। এর জবাবে পাল্টা হামলা শুরু করে ইরানও।
এ অবস্থায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শুরু থেকেই ইসরায়েলের পক্ষে সমর্থন দিতে থাকেন। একপর্যায়ে তিনি ঘোষণা দেন, ইসরায়েলের হয়ে ইরানে হামলা চালাবেন কি না, তা জানাবেন দুই সপ্তাহের মধ্যে। এর মধ্যেই ২২ জুন মধ্যরাতে ইরানে সরাসরি হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলার পরে কাতার ও ইরাকের মার্কিন ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে তড়িঘড়ি করে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার চেষ্টা করতে থাকেন ট্রাম্প। শেষমেশ ২৪ জুন থেকে ইরান ও ইসরায়েলে মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়।
সূত্র: রয়টার্স