কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় ঘরে ঢুকে এক নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। নির্যাতনের ৫১ সেকেন্ডের একটি ভিডিও শনিবার (২৮ জুন) রাত থেকে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।
ভিডিওতে দেখা যায়, ১০-১২ জন যুবক ওই নারীকে বিবস্ত্র অবস্থায় মারধর করছে। এ সময় ওই নারী চিৎকার করছে।
পুলিশ বলছে, ভিডিও ভাইরাল হওয়ার আগে নির্যাতনের বিষয়টি কেউ পুলিশকে জানায়নি। ওই নারী ধর্ষণের অভিযোগে শুক্রবার মামলা করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) দিবাগত রাতে উপজেলার রামচন্দ্রপুর দক্ষিণ ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী নারী মুরাদনগর থানায় ধর্ষক ফজর আলীকে (৩৮) আসামি করে ধর্ষণ মামলা করেছেন। অভিযুক্ত ব্যক্তি স্থানীয় বিএনপির নেতা বলে জানা গেছে। ঘটনার পর থেকে আসামি পলাতক। পুলিশ বলছে, আসামিকে ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগ, ঘটনার রাতে তার বাবা-মা বাড়িতে ছিলেন না। ওই সময় ফজর আলী বাড়িতে এসে ঘরের দরজা খুলতে বলেন। ভুক্তভোগী দরজা না খুললে অভিযুক্ত কৌশলে ঘরে ঢোকেন এবং ধর্ষণ করেন। তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে ফজর আলীকে আটক করে মারধর করেন এবং ঘটনার ভিডিও ধারণ করেন। পরে ওই নারীকে উদ্ধার করা হয়।
মামলার এজাহার অনুযায়ী, অভিযুক্ত ফজর আলী বাহেরচর পাচকিত্তা গ্রামের শহীদ মিয়ার ছেলে। ভুক্তভোগীর স্বামী গত পাঁচ বছর ধরে প্রবাসে এবং তার দুটি সন্তান রয়েছে।
মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুর রহমান বলেন, ভুক্তভোগীর মেডিকেল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। অভিযুক্তকে ধরতে পুলিশের দুটি টিম মাঠে রয়েছে। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে।
ওসি আরও বলেন, ওই নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনা তিনি পুলিশকে বলেননি। ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়াটা আইনগত অপরাধ। আমরা সেই ভিডিও ছড়ানোর উৎসও খতিয়ে দেখছি। ওই নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনায় যারা জড়িত সকলকে শনাক্ত করে আইনের আওতায় নেওয়া হবে।