চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যা: চিন্ময়সহ ৩৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী
চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী। সংগৃহীত ছবি

চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে কুপিয়ে হত্যা মামলায় সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় দাসসহ ৩৮ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (১ জুলাই) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহানগর পুলিশের (কোতোয়ালি অঞ্চল) সহকারী কমিশনার মাহফুজুর রহমান চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আদালতে এ অভিযোগপত্র জমা দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজ উদ্দিন। তিনি বলেন, আইনজীবী আলিফ হত্যা মামলায় চিন্ময় দাসসহ ৩৮ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে পুলিশ।

গত বছরের ২৬ নভেম্বর সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় দাসের জামিনকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম আদালত এলাকায় সংঘর্ষের মধ্যে আইনজীবী আলিফকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ হত্যার ঘটনায় তার বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন।

এছাড়া পুলিশের ওপর হামলা, কাজে বাধা এবং আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের ওপর হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও পাঁচটি মামলা হয়। ছয়টি মামলায় ৫১ জন গ্রেফতার হন। তাদের মধ্যে ২১ জনকে আলিফ হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়।

আদালত সূত্র জানায়, আইনজীবী আলিফ হত্যা মামলার আসামিদের মধ্যে চন্দন দাস, রিপন দাস ও রাজীব ভট্টাচার্য আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

এতে উল্লেখ করা হয়, আলিফের ঘাড়ে বঁটি দিয়ে দুটি কোপ দেন রিপন দাস। আর কিরিচ দিয়ে কোপান চন্দন দাস। পরে রাস্তায় পড়ে থাকা সাদা শার্ট ও কালো প্যান্ট পরা এই আইনজীবীকে লাঠি, বাটাম, ইট, কিরিচ ও বঁটি দিয়ে তারা ১৫ থেকে ২০ জন পিটিয়ে হত্যা করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (কোতোয়ালি অঞ্চল) মাহফুজুর রহমান বলেন, চিন্ময়ের উসকানি ও নির্দেশে আইনজীবীকে হত্যা করা হয়েছে। এজন্য মামলায় তাকে আসামি করা হয়েছে।

সনাতনী জাগরণ সংঘের মিছিল থেকে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগ এনে গত বছরের ৩১ অক্টোবর চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও মোহরা ওয়ার্ড বিএনপির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ খান বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণকে ২৫ নভেম্বর ঢাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাকে চট্টগ্রাম আদালতে আনা হলে জামিনের দাবিতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান তার অনুসারীরা।

শেয়ার করুন