ইউক্রেনকে প্রতিশ্রুত কিছু অস্ত্র সহায়তা স্থগিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ট্রাম্পের মার্কিন স্বার্থকে সবার আগে রাখার নীতির অংশ হিসেবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার, হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র অ্যানা কেলি জানান, অন্যান্য দেশকে কী পরিমাণ সামরিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে—সম্প্রতি তা মূল্যায়ন করেছে মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর। আর এরপরই এ সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে প্রশাসন। প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র এবং নির্ভুল লক্ষ্যমাত্রার অস্ত্রের চালান স্থগিত করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে, কোন অস্ত্রের শিপমেন্ট স্থগিত হয়েছে সে ব্যাপারে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি মার্কিন কর্মকর্তারা।
ইউক্রেনও এ বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার সর্বাত্মক অভিযানের পর থেকে কিয়েভকে শত কোটি ডলারের সামরিক সহায়তা দিয়ে এসেছে যুক্তরাষ্ট্র। চলতি বছর জানুয়ারিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর তার শিবিরের অনেকে বলছেন, ইউক্রেনসহ অন্য মিত্র দেশগুলোকে সামরিক সহায়তা দিতে গিয়ে মার্কিন অস্ত্র ভান্ডার খালি হওয়ার উপক্রম। এখনই লাগাম টেনে না ধরলে ভবিষ্যতে নিজেদেরই বিপদে পড়তে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিষয়ক নীতিনির্ধারণী উপ-মন্ত্রী এলব্রিজ কোলবি বলেছেন, ‘প্রতিরক্ষা দপ্তর ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা অব্যাহত রাখার জন্য প্রেসিডেন্টকে শক্তিশালী বিকল্প দিয়ে যাচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আর সে জন্য প্রতিরক্ষা দপ্তর তার কৌশল কঠোরভাবে মূল্যায়ন ও পুনর্বিন্যাস করছে, যাতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রয়োজনে মার্কিন বাহিনীগুলোর প্রস্তুত থাকে।’
যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তা বিবিসির মার্কিন অংশীদার সিবিএস নিউজকে জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র মজুত বিপজ্জনকভাবে কমে যাওয়ার আশঙ্কাই এই পদক্ষেপের পেছনে মূল কারণ।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেনে আক্রমণ করার পর থেকে এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে ৬৬ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি মূল্যের অস্ত্র ও সামরিক সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।