জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে ভেনেজুয়েলা। প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো সরকারের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে প্রকাশ্যে সমালোচনা করায় দেশটির আইনপ্রণেতারা তাঁকে নিয়ে এই ঘোষণা দেন। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় আল-জাজিরা।
গত সপ্তাহে জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে ভেনেজুয়েলায় মানবাধিকার পরিস্থিতি তুলে ধরে সরকারের সমালোচনা করেন ভলকার তুর্ক। তিনি বলেন, ভেনেজুয়েলায় নির্বিচারে আটক ও গুমের ঘটনা ঘটছে। এই সমালোচনার প্রতিক্রিয়ায় তাঁকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হলো।
গতকাল মঙ্গলবার (১ জুলাই) ভেনেজুয়েলার সংসদে একটি ভোটাভুটি হয়। তাতে ভলকার তুর্ককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করার ব্যাপারে সর্বসম্মতিক্রমে সমর্থন দেয় সংসদ।
ঘোষণার আগে এক মন্তব্যে সংসদের প্রেসিডেন্ট জর্জ রদ্রিগেজ অন্যান্য অধিকার লঙ্ঘনের প্রতি তুর্ককে ‘চোখ বন্ধ’ রাখার অভিযোগ করেন।
চলতি বছরের মে মাসে মার্কিন সরকারের এক পদক্ষেপে উদ্বেগ প্রকাশ করে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেন তুর্ক। তাতে দৃষ্টান্ত হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী ভেনেজুয়েলার অভিবাসীদের এল সালভাদরের একটি আটক কেন্দ্রে নির্বাসনের বিষয়টি উল্লেখ করেন তিনি। ভেনেজুয়েলায় কথিত নির্যাতন সম্পর্কে তাঁর মন্তব্য এমন এক সময়ে আসে, যখন বেশ কয়েকটি মানবাধিকার সংস্থা ভেনেজুয়েলায় গত জুলাইয়ে একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনের পর রাজনৈতিক বিরোধীদের ওপর মাদুরো সরকারের দমন-পীড়নের নিন্দা জানায়। তুর্ককে অবাঞ্ছিত ব্যক্তি হিসেবে ঘোষণার তাৎক্ষণিক প্রভাব পড়বে না। তবে পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে ভেনেজুয়েলা সরকার অতীতের মতো জাতিসংঘ মানবাধিকার হাইকমিশনের অফিস সরানোর পদক্ষেপ নিতে পারে।