জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের নিজস্ব অর্থায়নে নির্মাণাধীন আবাসিক প্রকল্পে ১২ জন সাবেক সচিব, বিচারক ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার ফ্ল্যাট বরাদ্দ বাতিল করেছে সরকার।
আজ মঙ্গলবার (৮ জুলাই) গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘ঢাকার ধানমণ্ডি ও মোহাম্মদপুরস্থ বিভিন্ন পরিত্যক্ত বাড়িতে আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ (গৃহায়ন ধানমণ্ডি-১ম পর্যায়)’ প্রকল্পের আওতায় ধানমণ্ডির সড়ক নং-১৩ (নতুন ৬/এ) এর বাড়ি নং ৭১১ (নতুন ৬৩)–তে নির্মাণাধীন ভবনে এসব বরাদ্দ বাতিল করা হয়েছে।
জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের গঠিত তদন্ত কমিটির সুপারিশ এবং সংস্থার ২৭৪তম বোর্ড সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই বরাদ্দ বাতিলের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে বরাদ্দ বাতিলের পেছনে সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়নি।
যাদের বরাদ্দ বাতিল হলো:
বরাদ্দ বাতিল হয়েছে—সাবেক অবসরপ্রাপ্ত বিচারক ও দুর্নীতি দমন কমিশনের সাবেক কমিশনার মো. জহুরুল হক (ফ্ল্যাটের আয়তন ৪১০৫.০৫ বর্গফুট), সাবেক সিনিয়র সচিব মো. ইউনুসুর রহমান (ফ্ল্যাটের আয়তন ২৩১৫.৮৩ বর্গফুট), সাবেক সিনিয়র সচিব ও দুর্নীতি দমন কমিশনের সাবেক কমিশনার ড. মো. মোজাম্মেল হক খান (ফ্ল্যাটের আয়তন ৪৩০৮.৬৮ বর্গফুট), সাবেক সচিব এম এ কাদের সরকার (ফ্ল্যাটের আয়তন ২০৪৯.১৩ বর্গফুট), সাবেক সিনিয়র সচিব ড. এম আসলাম আলম (ফ্ল্যাটের আয়তন ২০৪৯.১৩ বর্গফুট), সাবেক সচিব আকতারী মমতাজ (ফ্ল্যাটের আয়তন ২০৪৯.১৩ বর্গফুট), সাবেক সচিব মো. সিরাজুল হক খান (ফ্ল্যাটের আয়তন ২৩১৫.৮৩ বর্গফুট), সাবেক সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. মঞ্জুরুল বাছিদ (ফ্ল্যাটের আয়তন ২৩১৫.৮৩ বর্গফুট), সাবেক রেজিস্ট্রার জেনারেল ও সাবেক সিনিয়র জেলা জজ সৈয়দ আমিনুল ইসলাম (ফ্ল্যাটের আয়তন ২০৪৯.১৩ বর্গফুট), মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ (ফ্ল্যাটের আয়তন ২০৪৯.১৩ বর্গফুট), সাবেক সিনিয়র সচিব ও সাবেক নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান (ফ্ল্যাটের আয়তন ২৩১৫.৮৩ বর্গফুট) এবং সাবেক সিনিয়র সচিব এস এম গোলাম ফারুক (ফ্ল্যাটের আয়তন ২০৪৯.১৩ বর্গফুট)।