হবিগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক এমপি সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন ওরফে ব্যারিস্টার সুমনকে জুলাই গণঅভ্যুত্থানকেন্দ্রিক মুগদা থানার একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। সোমবার (২১ জুলাই) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জি এম ফারহান ইশতিয়াক পুলিশের আবেদন মঞ্জুর করে এ আদেশ দেন।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সুমনের আইনজীবী অ্যাডভোকেট লিটন।
এদিন আদালতে তোলার সময় সুমন বলেন, ‘দেশটাকে পুড়িয়ে ফেলছে ওরা। দেশটাকে রক্ষা করেন। নতুন প্রজন্মের সঙ্গে আপনারা প্রতারণা করছেন, ইতিহাস আপনাদের ক্ষমা করবে না।’
এদিন ১০টা ৮ মিনিটের দিকে তাকে কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় আদালতের হাজতখানা থেকে এজলাসে হাজির করা হয়৷ এরপর শুরু হয় গ্রেফতার দেখানো বিষয়ে শুনানি। শুনানির শেষে আদালত তাকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। পরে তাকে আবারও হাজতখানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
মামলার সূত্রে জানা যায়, জুলাই অভ্যুত্থান চলাকালে গত বছরের ১৮ জুলাই ঢাকা জজকোর্টের আইনজীবী আব্দুল আছেত শামীম আদালতের কাজ শেষে বাসায় ফিরছিলেন। পথিমধ্যে মুগদা থানাধীন বাবু ডাক্তারের গলিতে আসামির ছোঁড়া রাবার বুলেট তাঁর হাতে, কপালে, বুকে, চোয়ালে ও পেটে লাগে। পরে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হন তিনি। এ ঘটনায় গত ১ সেপ্টেম্বর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৫১ জনকে এজাহারনামীয় আসামি করে মুগদা থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী আব্দুল আছেত। মামলায় সায়েদুল হক সুমন ২৫ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি।
গত ২১ অক্টোবর দিবাগত রাত দেড়টার দিকে রাজধানীর মিরপুর এলাকা থেকে সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনকে গ্রেফতার করা হয়। পরদিন যুবদল নেতা ও মিরপুরের বাঙালিয়ানা ভোজের সহকারী বাবুর্চি হৃদয় মিয়াকে হত্যাচেষ্টা মামলায় তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।