রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধবিরতির আলোচনার প্রস্তুতির মধ্যেই ইউক্রেনজুড়ে বড় ধরনের দুর্নীতিবিরোধী বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। বিতর্কিত এক নতুন আইন পাস করে সই করার পর তার বিরুদ্ধে ‘ক্ষমতা কেন্দ্রীকরণের’ অভিযোগ উঠেছে, যা ইউক্রেনের ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) যোগদানের আশাকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) জেলেনস্কি ইউক্রেনের পার্লামেন্টে পাস হওয়া একটি আইন অনুমোদন করেন, যার মাধ্যমে দুর্নীতিবিরোধী দুই স্বাধীন সংস্থা- ন্যাশনাল অ্যান্টি-করাপশন ব্যুরো (এনএবিইউ) এবং স্পেশালাইজড অ্যান্টি-করাপশন প্রসিকিউটরস অফিসকে (এসএপিও) সরাসরি অ্যাটর্নি জেনারেলের অধীনস্থ করা হয়।
২০১৪ সালের ইউরোপপন্থী মাইদান বিপ্লবের পর এনএবিইউ ও এসএপিও প্রতিষ্ঠিত হয় দুর্নীতি নির্মূল ও গণতান্ত্রিক সংস্কার নিশ্চিত করতে। ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) যোগদানের পথে এগোতে এগুলো গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা হিসেবে বিবেচিত।
এই আইনের প্রতিবাদে মঙ্গলবার রাজধানী কিয়েভসহ ইউক্রেনের বড় বড় শহরে হাজারো মানুষ বিক্ষোভে নামেন। রাতের কারফিউ ভেঙেও চলে বিক্ষোভ।
ইউরোপীয় কমিশনের এক মুখপাত্র সতর্ক করে বলেছেন, এই সিদ্ধান্ত ইউক্রেনের ইইউ সদস্যপদ পাওয়ার পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। ইউক্রেনের জন্য বরাদ্দ ইউরোপীয় সহায়তা সরাসরি স্বচ্ছতা, বিচার সংস্কার ও গণতান্ত্রিক শাসনের ওপর নির্ভরশীল বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
স্বচ্ছতা বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংগঠন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের ইউক্রেন শাখা এটিকে দুর্নীতিবিরোধী সংস্কার থেকে ‘গুরুতরভাবে পিছিয়ে যাওয়া’ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের পথে ‘একটি সরাসরি হুমকি’ বলে আখ্যায়িত করেছে।
আইন পাসের আগে সোমবার এনএবিইউ’র কর্মকর্তা ও কার্যালয়ে অভিযান চালায় ইউক্রেনের নিরাপত্তা সংস্থা (এসবি) ও অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিস। SAPO-তেও গোপন নথিপত্র ব্যবস্থাপনা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়।