রাজশাহীতে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে যুবদল ও ছাত্রদলের দুই নেতাসহ ৫৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন মোস্তাফিজুর রহমান নামে এক আবাসন ব্যবসায়ী। গত বুধবার রাতে বোয়ালিয়া মডেল থানায় মামলাটি করেন তিনি। মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে জেলা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক মোজাদ্দেদ জামানী সুমন এবং রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজ ছাত্রদলের সদস্য সচিব এমদাদুল হক লিমনকে।
গ্রিন প্লাজা রিয়েল এস্টেট লিমিটেড নামে প্রতিষ্ঠানের মালিক মোস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধেও বিভিন্ন সময় ফ্ল্যাট বিক্রির নামে প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় তিনি রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন ও তাঁর স্ত্রী শাহীন আক্তার রেণীর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচয় দিতেন।
অভিযোগ অস্বীকার করে জেলা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক মোজাদ্দেদ জামানী সুমন বলেন, আমিনুল ইসলাম নামে আমার এক আত্মীয় মোস্তাফিজুরের কাছে ২৭ লাখ টাকা পান। ফ্ল্যাট দেওয়ার কথা বলে তাঁর সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। আমরা বোয়ালিয়া থানায় বসে সমঝোতা করে দিয়েছি। পাওনা ২৭ লাখ টাকা কেটে মোট ৪০ লাখ টাকায় ফ্ল্যাটটি আমাদের দেওয়ার কথা। এখন শুনছি মামলা করেছে। মোস্তাফিজুর প্রথম শ্রেণির একজন প্রতারক। পাওনা ২৭ লাখ টাকা ফেরত না দেওয়ার উপায় বের করতেই এমন মামলা করেছে সে। এ ছাড়া সামনে আমাদের দলীয় সম্মেলন; কমিটি হবে। সে জন্য কিছু লোকের ষড়যন্ত্রও আছে।
রাজশাহী সিটি কলেজ ছাত্রদল নেতা এমদাদুল হক লিমন বলেন, মোস্তাফিজুর রহমান স্বৈরাচারের দোসর। সামনে আমাদের কমিটি। এ ধরনের অভিযোগ করে আমাদের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রে পা দিয়েছে সে।
এ বিষয়ে কথা বলতে মোস্তাফিজুর রহমানকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। এ বিষয়ে বোয়ালিয়া মডেল থানার ওসি মোস্তাক আহমেদ বলেন, মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। এজাহারে ৩৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২০ জনকে আসামি করা হয়েছে। তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।