উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহত জারিফ ফারহান (১৩) জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ছিল। এ নিয়ে এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৪ জনে দাঁড়ালো।
শনিবার (২৬ জুলাই) সকাল ৯টা ১০ মিনিটে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় জারিফ।
জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক শাওন বিন রহমান জারিফের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় জারিফ নামে আরও একজন মারা গেছে। তার শরীরের ৪০ শতাংশ দগ্ধ ছিল।
এর আগে শুক্রবার (২৫ জুলাই) দুপুর ১টা ৫ মিনিটের দিকে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় মাকিন (১৪) নামের আরও এক শিক্ষার্থী।
এদিকে, শুক্রবার (২৫ জুলাই) বিকেলে বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে সংবাদ সম্মেলনে ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক নাসির উদ্দীন জানান, বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ৪০ জনের মধ্যে পাঁচ জনের অবস্থা সংকটাপন্ন। তাদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়।
আইএসপিআর জানায়, গত সোমবার দুপুর ১টা ৬ মিনিটে রাজধানীর কুর্মিটোলার বিমানবাহিনীর ঘাঁটি এ কে খন্দকার থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পর এফটি-৭ বিজিআই যুদ্ধবিমানটি উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল চত্বরের একটি দোতলা ভবনের ওপর গিয়ে বিধ্বস্ত হয়। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটে।
আইএসপিআর আরও জানায়, নিহত পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকির ইসলাম সাগর যুদ্ধবিমানটি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা থেকে জনবিরল এলাকায় নিয়ে যাওয়ার সর্বাত্মক চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত বিমানটি উত্তরার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের দোতলা ভবনে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনায় বিধ্বস্ত হয়।