চাঁদাবাজ আখ্যা দিয়ে বৈষম্যবিরোধী নেতাদের কিল-ঘুষি-লাথি

নিজস্ব প্রতিবেদক

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের তিন ও গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের এক নেতাকে চাঁদাবাজ আখ্যা দিয়ে কিল-ঘুষি-লাথি মেরেছেন বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা।

আজ রোববার (২৭ জুলাই) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গুলশান থানার চাঁদাবাজির মামলার রিমান্ড শুনানির পর এ ঘটনা ঘটে। এ সময় আইনজীবীদের ‘আবু সাঈদ-মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’, ‘এনসিপি চাঁদাবাজ’, ‘চাঁদাবাজ, চাঁদাবাজ যায়’, ‘জুলাইয়ের বেইমান’ ইত্যাদি আখ্যা ও স্লোগান দিতে দেখা যায়।

এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার পুলিশ পরিদর্শক মোখলেসুর রহমান আসামিদের আদালতে হাজির করে প্রত্যেকের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াদুর রহমানের আদালত প্রত্যেকের ৭ দিন করে রিমান্ডের আদেশ দেন। পরে আদালত থেকে তাদের হাজতখানায় নেওয়ার পথে সিঁড়িতে ও আদালত প্রাঙ্গণে পুলিশের ব্যারিকেড ডিঙিয়ে কিল-ঘুষি মারতে দেখা যায়।

রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঢাকা মহানগরের আহ্বায়ক ইব্রাহিম হোসেন মুন্না, সদস্য মো. সাকাদাউন সিয়াম ও সাদমান সাদাব এবং গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ।

আদালতে বিএনপিপন্থি এক আইনজীবী বলেন, ‘এরা জুলাইয়ের কলঙ্ক। হাজার হাজার শহীদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করছে। এরা চাঁদাবাজ, এদের ক্ষমা নাই। এরা তারেক জিয়াকে নিয়েও বিষোদগার করেছে। নিজেরা চাঁদাবাজি করে আর বিএনপির নামে বদনাম ছড়ায়।’

শেয়ার করুন