জায়গায় দাঁড়িয়ে অনায়াসে ছক্কা হাঁকানোর কৃতিত্ব চলতি বিশ্বকাপে দেখিয়েছেন পাকিস্তানের আসিফ আলি। তবে তিনি একা নন। একই কৃতিত্ব আজ দেখালেন ইংল্যান্ডের জস বাটলার।
অস্ট্রেলিয়ার প্যাট কামিন্স, মিচেল স্টার্ক, জস হ্যাজলউড, অ্যাডাম জাম্পা কিংবা অ্যাস্টন অ্যাগার- কেউ রেহাই পাননি বাটলারের ব্যাটের ঝড় থেকে। তার তোলা ঝড়ে অস্ট্রেলিয়ার ছুঁড়ে দেয়া ১২৬ রানের লক্ষ্য ৫০ বল হাতে রেখেই পার হয়ে যায় ইংল্যান্ড।
টুর্নামেন্টের অন্যতম ফেবারিট অস্ট্রেলিয়াকে ৮ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নিলো ইংলিশরা। জস বাটলার ইনিংস ওপেন করতে নেমে অপরাজিত ছিলেন ৩২ বলে ৭১ রানে। ৫টি করে ছক্কা এবং বাউন্ডারি মেরেছেন তিনি।
দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দারুণ নিয়ন্ত্রিত বোলিং করে প্রথমে ব্যাট করতে নামা অস্ট্রেলিয়াকে ১২৫ রানের মধ্যে বেধে রাখে ইংল্যান্ড। জয়ের জন্য ১২৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ঝড় তুলতে থাকেন দুই ইংলিশ ওপেনার জেসন রয় এবং জস বাটলার।
প্রথম পাওয়ার প্লেতেই (৬ ওভারে) ৬৬ রান তুলে ফেলেন এই দু’জন। সবচেয়ে বেশি মারমুখি ছিলেন জস বাটলার। এমন সময় বোলিংয়ে এসে একটু সমীহ আদায় করেন অ্যাডাম জাম্পা এবং ওভারের দ্বিতীয় বলেই জেসন রয়কে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে সাজঘরে ফেরত পাঠান। ২০ বলে ২২ রান করেন জেসন রয়।
ওপেনিং পার্টনার আউট হয়ে গেলেও বাটলার তাণ্ডব থামেনি। বরং, তার ব্যাটিং তাণ্ডবে চোখে-মুখে শর্ষে ফুল দেখতে থাকে অসি বোলাররা। ১০ ওভারেই তারা তুলে নেয় ৯৯ রান। এরই মধ্যে অবশ্য ৮ বলে ৮ রান করে অ্যাস্টন অ্যাগারের বলে ম্যাথ্যু ওয়েডের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান ডেভিড মালান।
চার নম্বরে নামা জনি বেয়রেস্ট অবশ্য আর টলে যাননি অসি বোলারদের সামনে। বরং, বাটলার তাণ্ডবে যোগ দিয়েছিলেন তিনিও। ১১ বল মোকাবেলা করে মেরেছেন ২টি ছক্কার মার। ১৬ রানে ছিলেন অপরাজিত।
শেষ পর্যন্ত ১১.৪ ওভারেই কাংখিত জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ইংল্যান্ড।