বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আজ বড় দুঃসময় বাংলাদেশের। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার যদি চিকিৎসা বাংলাদেশে না হয়, তাহলে সাধারণ মানুষ তো চিকিৎসা পায়ই না। হাসপাতালে যাবেন, দেখবেন কোনো চিকিৎসা নেই। বেগম খালেদা জিয়ার মতো মানুষকে যদি বিদেশে না পাঠায় আর আমরা যদি গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে না পারি, তাহলে এ দেশের অস্তিত্ব ধ্বংস হয়ে যাবে, বিলুপ্ত হয়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, আজ এসব করে কোনো লাভ হবে না। জনগণ জেগে উঠতে শুরু করেছে। জেগে উঠবে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পর্যন্ত। পদ্মা, মেঘনা, যমুনার অববাহিকায় উত্তাল তরঙ্গ সৃষ্টি হবে।
শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী কৃষকদল আয়োজিত খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে পাঠানোর দাবিতে এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। এই সরকার তাকে তিলে তিলে সচেতনভাবে হত্যা করছে। আমরা চাই আমাদের দেশনেত্রীকে বিদেশে পাঠিয়ে চিকিৎসার সুযোগ করে দেন। এটা সর্বনিম্ন দাবি। এটা কোনো দয়া নয়, মহানুভবতা নয় কিংবা মানবিক ব্যাপার নয়। এটা নাগরিক হিসেবে অধিকার। আপনারা বলবেন উনি তো সাজাপ্রাপ্ত নাগরিক। সাজাপ্রাপ্ত নাগরিকও তো চিকিৎসা পাওয়ার অধিকার রাখেন।
তিনি বলেন, এরা (আওয়ামী লীগ) কাউকে সহ্য করতে পারে না। তাই দেশনেত্রীর নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে সাজা ভোগ করাচ্ছে। এরা ভিন্ন মত সহ্য করতে পারে না বলেই বেগম জিয়াকে তিলে তিলে হত্যা করছে। তার রক্তক্ষরণ হচ্ছে এবং এই রক্তক্ষরণ যদি বেশিদিন চলে তাহলে তিনি বাঁচবেন না। তার যে রোগ হয়েছে লিভার সিরোসিস এটা খুবই মারাত্মক রোগ। এই রোগের চিকিৎসা সেইভাবে দেশে নাই। আমেরিকা, ইংল্যান্ড ও জার্মানি ছাড়া এই রোগ ভালো হয় না।
নির্বাচন নিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, আওয়ামী লীগের আমলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না। নির্বাচন ব্যবস্থা কি আছে? আপনারা দেখেন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। এই নির্বাচনে কত মানুষের প্রাণ গেল, প্রকাশ্য দিবালোকে পিটিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হলো।
কুমিল্লায় কমিশনার হত্যাকাণ্ডের ঘটনা নিয়ে বলেন, এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত ৩ জন আসামিকে গ্রেফতারের পর তাদের ক্রস ফায়ারে হত্যা করা হয়। কেন এই হত্যাকাণ্ড? কারণ এই হত্যার মূলহোতা কে এইটা যেন জানা না যায়। পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর যদি হত্যা করা হয় তাহলে রাষ্ট্রে কি নিরাপত্তা থাকে?
মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, সাবেক সাংসদ ফজলুল হক মিলন, মোশাররফ হোসেন, যুবদল সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, যুবদল সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, কৃষক দলের সভাপতি হাসান জাবির তুহিন, সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবলু প্রমুখ।