জাপানের উত্তরে অবস্থিত কুরিল দ্বীপপুঞ্জের মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী প্রথমবারের মতো দ্বীপপুঞ্জের কাছে উপকূলীয় ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েন করেছে। কয়েক দশক ধরে কুরিল দ্বীপপুঞ্জের মালিকানা দাবি করে আসছে টোকিও। এ নিয়ে জাপান ও রাশিয়ার মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছে। এ অবস্থার ভেতর দিয়ে রাশিয়া সেখানে নিজের অবস্থান জোরদার করার পদক্ষেপ নিল।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে, যাতে দেখা যাচ্ছে- জনমানবহীন আগ্নেয় দ্বীপ মাতুয়া-তে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী ব্যাসটিওন মিসাইল সিস্টেম মোতায়েন করছে। এই ক্ষেপণাস্ত্র সমুদ্রের ৫০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। মাতুয়া দ্বীপটি কুরিল দ্বীপপুঞ্জের মাঝখানে অবস্থিত।
রুশ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মাতুয়া দ্বীপে সামরিক বাহিনীর লোকজনের বসবাসের জন্য ঘরবাড়ি তৈরি করা হবে পাশাপাশি সামরিক বাহিনীর জন্য নানা ধরনের অবকাঠামো গড়ে তোলা হবে।
রাশিয়ার প্রশান্ত মহাসাগরীয় নৌবহর ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েনের বিষয়টি নিশ্চিত করে এক বিবৃতিতে বলেছে, রুশ সেনারা এখন ২৪ ঘন্টার জন্য বিচ্ছিন্ন এই দ্বীপের ওপর নজর রাখবে।
এদিকে, ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভও জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের অনুমতি নিয়েই এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা মোতায়েন করা হয়েছে।