ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য নাগাল্যান্ডে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে ১৩ নিরীহ গ্রামবাসী নিহত হয়েছেন। কয়লা শ্রমিকবাহী একটি ট্রাক লক্ষ্য করে আসাম রাইফেলসের সদস্যরা গুলি চালালে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
বিষয়টিকে মানবীয় ভুল বলে উল্লেখ করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। এক বিবৃতিতে বাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘দুর্ভাগ্যজনক প্রাণহানির কারণটি সর্বোচ্চ পর্যায়ে তদন্ত করা হচ্ছে।’
শনিবার ৪ (ডিসেম্বর) রাতে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য নাগাল্যান্ডের মিয়ানমার সীমান্তের কাছে মোন জেলার ওটিং গ্রামে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।
ভারতীয় একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, কাজ শেষে বাড়ি ফেরা ৩০ বা তার বেশি কয়লাখনির শ্রমিক বহনকারী একটি ট্রাকে ভুলবশত গুলি চালায় ভারতীয় সেনা ইউনিট আসাম রাইফেলসের সৈন্যরা। সেখানে স্থানীয় ৬ জন বেসমারিক নাগরিক নিহত হন। সংঘর্ষের খবর ছড়িয়ে পরার পর শত শত বিক্ষুব্ধ জনতা নিরাপত্তা বাহিনীর ক্যাম্পটি ঘিরে ফেলে।
রাজ্যের পুলিশ কর্মকর্তা সন্দীপ এম তামগাদ এএফপি বার্তা সংস্থাকে বলেছেন, সৈন্যরা এরপর আরও সাতজনকে গুলি করে হত্যা করে।
এদিকে ভারতীয় এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, স্থানীয় এক মিডিয়াকে বলেছেন, ‘সৈন্যদের কাছে এলাকায় কিছু জঙ্গি আন্দোলন সম্পর্কে গোয়েন্দা তথ্য ছিল। ট্রাকটি দেখে তারা খনি শ্রমিকদের বিদ্রোহী বলে ভুল করে এবং ছয় শ্রমিককে গুলি করে হত্যা করে।’
ভারতীয় সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে যে সংঘর্ষে তাদের একজন সেনা নিহত হয়েছে ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।
নাগাল্যান্ডে বহু বছর ধরে বিচ্ছিন্নবাদীদের সঙ্গে লড়াই করছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। অভিযোগ আছে, নিরাপত্তা বাহিনী প্রায়ই বিচ্ছিন্নবাদী জঙ্গি অভিযানের নামে ভুলবশত স্থানীয়দের লক্ষ্যবস্তু করে আসছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ তার টুইট বার্তায় গভীর সমবেদনা জানিয়ে বলেছেন, তিনি ব্যথিত এবং ঘটনাটি দ্রুত তদন্ত ও ন্যায়বিচারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।