দেশে ফের করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে আদালত যেতে হত পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম শুরু হলে তিনি এ ইঙ্গিত দেন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, হাইকোর্ট বিভাগের ১৩ বিচারপতি করোনা আক্রান্ত। এছাড়াও আক্রান্ত হয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের অনেক স্টাফ। সেই সঙ্গে নিম্ন আদালতের অনেক বিচারকও করোনায় আক্রান্ত, এমন অবস্থায় কোর্ট চালানো কঠিন হয়ে পড়বে।
তিনি আরও বলেন, চারদিকে করোনা সংক্রমণের যে অবস্থা, তাতে মনে হচ্ছে আবারও ভার্চুয়াল আদালত পরিচালনায় যেতে হবে। ভার্চুয়ালি মামলা যে কম নিষ্পত্তি হয় তা কিন্তু নয়, ভার্চুয়ালি বেশিই নিষ্পত্তি হয়।
এসময় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ বলেন, আমাদের অ্যাটর্নি জেনারেল মহোদয় এবং ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলসহ কয়েকজন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।
তখন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, আমাদের হাইকোর্টের কয়েকজন বিচারপতি, স্টাফ এবং নিম্ন আদালতের কিছু বিচারকও আক্রান্ত হয়েছেন।
হাইকোর্ট বিভাগের চারজন বিচারপতি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে খবর আসে। এছাড়া রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন করোনা আক্রান্ত হন। বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে প্রশিক্ষণে আসা ২৩ জন বিচারক আক্রান্ত হন করোনায়। তাদের প্রশিক্ষণ বন্ধ করা হয়।
এর আগে শুরুতে দেশে করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকলে আদালতের স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। তবে বিচার বিভাগকে সচল রাখতে ২০২০ সালের ৭ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘আদালত কর্তৃক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ- ২০২০’ এর খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।
এরপর একই বছরের ৯ মে ভার্চুয়াল উপস্থিতিকে সশরীরে উপস্থিত হিসেবে গণ্য করে অধ্যাদেশটি জারি করেন রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ। ১০ মে ভার্চুয়াল আদালত পরিচালনা সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করে ১১ মে থেকে সীমিত পরিসরে বিচারিক কার্যক্রম শুরুর মাধ্যমে দেশে ভার্চুয়াল আদালত চালু হয়।